নোয়াখালিতে অষ্ট প্রহর কীর্তনে পুলিশ মন্দিরে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছে। বলছে রাতে তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে না তাই দিনেই তাদের ধর্মীয় উৎসব শেষ করতে। নইলে বন্ধ করে দিতে। জিনিসটা অনেকটা তাহাজ্জুদের নামাজ দিনে পড়তে বলার মতন হয়ে গেছে। প্রথমত একটা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে হয় এটাই তো বিরাট একটা লজ্জ্বার ব্যাপার। মাত্র দুই মাস আগেই নোয়াখালিতে হিন্দু বাড়ি, মন্দিরে আগুন দেয়া হইলো। তাই সেখানে নিরাপত্তা পেলে রাতে তাদের ধর্মীয় উপাসনাটা নিশ্চিন্তে করা যাইতো। বিশেষত মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারটা তো আছেই।
নোয়াখালিতে কিন্তু ওয়াজ-মাহফিল হয় সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে বেশি। সেগুলো কিন্তু কখনোই দিনের মধ্যে শেষ করতে বলা হয় না। কারন সেটা মুসলমান পুলিশ ভাইদের প্রানের ধর্মের জিনিস। আজহারির মতন মেগাস্টার ওয়াজি নিজের মুখেই বলছে নানা জেলায় সে ওয়াজ করতে যাবার পরে জেলা প্রশাসক হতে শুরু করে পুলিশ সুপার, এসপি, থানার ওসি তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ওয়াজের মাঠে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি ওয়াজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোররাত অবদি সেখানে তার সম্মানে পুলিশ রেখে দিয়েছে। কারো নিরাপত্তার দরকার নাই, তবু পুলিশ দাড়িয়ে থাকে। কারো বাড়িঘর, মন্দির পোড়ে নিয়ম করে, মেয়েরা লান্চিত হয় তবু পুলিশ পাওয়া যায় না। প্রিয় হিপোক্রেট বন্ধুগন, এইটাই আপনাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
সূত্র: ফেসবুক
0 মন্তব্যসমূহ