মৌলভীবাজারের বড়লেখার শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূ সেবাশ্রমে বুধবার সকালে প্রতিমা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। |
বড়লেখার শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূ সেবাশ্রমের এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 01 Jan 2025, 11:00 PM
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর এবং টাকা-পয়সা ও অলঙ্কার লুটে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন,
“বুধবার সকালে উপজেলার গাজীটেকা আদিত্যের মহালের শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূর সেবাশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। মন্দির কমিটির করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন টিপু (৩২) গাজীটেকা এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে।
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূর সেবাশ্রমের সভাপতি কৃপাসিন্ধু দত্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
“সকালে এক যুবক ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ’ নাম জপতে জপতে মন্দিরে প্রবেশ করেন। তিনি উপসনার ভান করে মূল মন্দিরে যান। এরপর প্রথমে কাঠের বিগ্রহ এবং পরে সিমেন্টের বিগ্রহ ভাঙচুর শুরু করেন।
“বাধা দিলে তিনি পূজারি লীলা রাণী দত্তকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে আহত করেন। পরে বিগ্রহের গায়ে থাকা অলঙ্কার এবং প্রণামি বাক্স ভেঙে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন মন্দিরে থাকা লোকজন তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি ইট দিয়ে ঢিল ছুড়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।”
মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন,
“বিষয়টি নিয়ে বড়লেখা থানায় একজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।”
পূজারি লীলা রাণী দত্ত বলেন, সকালে তিনি মন্দিরে পূজায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে এক যুবক ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ’ বলে মন্দিরে প্রবেশ করেন। স্নান করে এসেছেন কিনা জানতে চাইলেই তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করে। প্রতিমার গায়ের অলঙ্কার এবং প্রণামি বাক্স ভেঙে টাকা-পয়সাও নিয়ে যায়।
“আমি চিৎকার শুরু করলে অন্যরা তখন এগিয়ে আসে। এ সময় ওই যুবক ইট ছুড়ে মেরে বাইরে রাখা মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।”
বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানান, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে।
“গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে মন্দির থেকে নেওয়া তিন হাজার ২২০ টাকা, রুপার তৈরি দুই জোড়া নুপুর ও দুইটা হাতপাট্টা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে আসামি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।”
এদিকে দ্রুততার সঙ্গে আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার সাক্ষী সমরেন্দ্র দাশ।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪
0 মন্তব্যসমূহ