৪৩ তম বিসিএস এ বাদ পরাদের শতকরা ৪২.২৬% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের

গত ১৫ই অক্টোবর (২০২৪), ৪৩ তম বিসিএস-এর গেজেট প্রকাশিত হয়। আজ, ৩০শে ডিসেম্বর (২০২৪) নতুন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, নতুন করে ১৬৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ১৬৮ জনের মধ্যে ৭১ জন হিন্দু বা বৌদ্ধ। অর্থাৎ,  বাদ পরা মানুষের শতকরা ৪২.২৬% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।


পরবর্তীতে আমরা টপ ছয়টি ক্যাডার বিবেচনায় এনেছি। সেগুলো হলো: এডমিন, পুলিশ, ফরেন, অডিট, ট্যাক্স, এবং কাস্টম। এখানেও একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।


এই ছয়টি ক্যাডারে নতুন করে বাদ পড়েছে ৪৮ জন, যার মধ্যে ১৯ জন সংখ্যালঘু। শতকরা হিসাবে এটি ৩৯.৫৮%।


এর মধ্যে সংখ্যালঘুদের বাদ পড়ার হার যথাক্রমে:


এডমিনে - ৩৪.৬১%


ফরেনে - ৬৬.৬৬%


পুলিশে - ১২.৫%


অডিটে - ১০০%


ট্যাক্সে - ৭১.৪৩%


কাস্টমসে - ৩৩.৩৩%


যদি আমরা নতুন এবং পুরাতন গেজেটের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখা যাবে পুরাতন গেজেটে ২০৬৪ জনের মধ্যে ২৫৬ জন সংখ্যালঘু ছিলেন, অর্থাৎ ১২.৪%।


সেটা নতুন গেজেটে কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৫% (১৮৯৬ জনের মধ্যে ১৮৫ জন)।


আবার পুরাতন গেজেটে যেখানে সংখ্যালঘু ছিল ১২% এর মত, সেখানে তাদের বাদ পড়ার হার ৪২% এরও বেশি নতুন গেজেটে


যেভাবে আমরা স্টাডিটি  করি:


১. আমরা দুইজন ব্যক্তি (একজন মুসলিম এবং একজন নন-মুসলিম) স্বাধীনভাবে নতুন গেজেটের সাথে পুরাতন গেজেটে মাইনরিটি ক্যাডারদের সংখ্যা গণনা করি।


২. মাইনরিটি ক্যাডারদের শনাক্ত করার জন্য আমরা সারনেম বা টাইটেলের উপর নির্ভর করি।


৩. কিছু কিছু নাম দুই ধর্মের মানুষেরই হতে পারে। তাই আমরা দুইজনের গণনার গড়কে ফাইনাল রেজাল্ট হিসাবে ধরি। উদাহরণস্বরূপ, পুরাতন গেজেটে প্রথমজন মোট মাইনরিটি পান ২৫৮ জন, দ্বিতীয়জন পান ২৫৪ জন। তাই আমরা ২৫৬-কে ফাইনাল রেজাল্ট হিসাবে ধরি।


৪. সংখ্যায় খুব কম হওয়ায় আমরা চাকমা সহ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোকে গণনার বাইরে রাখি।


# ফেসবুক থেকে সংগৃহীত


আরো পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ