গত ১২ ডিসেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কালী মন্দিরের ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ফাইল ছবি |
মন্দিরে হামলার ঘটনা নিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনাও করা হয়েছে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 27 Dec 2024, 11:09 PM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতরের পর চারমাসে সারাদেশে ৬৯টি মন্দিরে ‘হামলা-ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের’ ঘটনা ঘটেছে বলে সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
জোটের অন্যতম সংগঠক গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন,
গত ৫ অগাস্ট থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হিন্দুদের মন্দিরে হামলার ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
“দেশের ৪৯টি জেলায় ৫১টি কেস স্টাডি করে আমরা ৬৯টি মন্দিরে ভাংচুর, দখল ও চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।”
সনাতনী জোট বলছে,
“সরকার ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল হিন্দুদের ওপর ৫ অগাস্ট পরবর্তী যেসব হামলা চালানো হয় তা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত বলে রাজনৈতিক কারণে হয়েছে বলে সেসবের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
“তাই এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, কারণ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে হামলা মানেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে করা হয়েছে।”
গণামধ্যমে প্রকাশিত না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘আরও অর্ধশতাধিক মন্দির ভাংচুর ও দখলের ঘটনার’ তথ্য পেয়েও তা এই প্রতিবেদনে আনা হয়নি বলে জোটের ভাষ্য।
জোট আরও দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য কাজ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এর মধ্যে একটি হল- রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়– এমন হিন্দুদের বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং অন্যটি ‘কথিত ধর্ম অবমাননার নামে’ গ্রেপ্তার হিন্দুদের বিষয়ে।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪
0 মন্তব্যসমূহ