নিজেদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ফেসবুকে ভারতীয় মুসলিমদের নিজেদের বক্তব্য

নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য
নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য
 


নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য
নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য

নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মতামত
নিজেদের অবস্থা নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মতামত

ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মতামত
ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মতামত

ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য
ভারতীয় মুসলিমদের ফেসবুকে মন্তব্য


ভারতে মুসলিমদের জীবন কেমন, সেটা নিয়ে যখন এপারের লোকজন মায়াকান্না করে, তখন ভারতের মুসলিমরা গায়ের চামড়া শক্ত করে, ঠোঁটকাটা জবাব দিয়ে বলে, 


“যার ঘরে শূন্য কুপ, সে কেন অন্যের কূপ নিয়ে মাতামাতি করে?” 


বাংলাদেশে একটা ন্যারেটিভ চালু আছে, 


"ভারতে মুসলিমদের থেকে নাকি বাংলাদেশের হিন্দুরা জামাই আদরে থাকে"।


এই কথাটা এতবার চর্বণ করা হয়েছে যে এখন শুনলে মনে হয় এরা একই পচা কাসুন্দি ঘষে ঘষে খাচ্ছে। বাংলাদেশের তথাকথিত সিগমা গেঞ্জি বাহিনীর পোস্টটা দেখুন, সেখানে ভারতীয় মুসলিমদের মন্তব্য পড়লে বোঝা যায়, তাদের জীবনের মান নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট তারা। বরং আমাদের বাঙ্গুদের তর্ক শুনে তারা হাসতে হাসতে বলে, 


“আগে নিজের ঘর সামলাও। আমাদের নিয়ে এত মাতামাতি করতে হবে না।”


মুখে ধর্ম, অন্তরে স্বার্থ নিয়ে ভারত বিদ্বেষের নামে এদেশে "ভারত বয়কট" নামের একটা “শো পিস” জাতীয় আন্দোলন খাওয়ানো হয় – অথচ যারা এসব ন্যারেটিভ চালায়, তারাই রাতের আঁধারে বলিউডের গান শুনে, ভারতীয় নিত্যদিনের প্রোডাক্ট ছাড়া তারা চলেনা।  


তাদের এই ভারত-বিরোধী ন্যারেটিভের মধ্যেই একটা বড় দ্বিমুখিতা ধরা পড়ে। সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানে মুসলমানদের উপর যখন সৌদি আরব বোমা ফেলে, শত শত মসজিদ ভেঙে দেয়, তখন এদের মুখে টু শব্দটি থাকে না। অথচ ভারতের মুসলমানদের নিয়ে ফেনা তুলতে এদের জুড়ি নেই। এর কারণ খুব স্পষ্ট – ভারত বিদ্বেষে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায়, কিন্তু সিরিয়া বা ইয়েমেনের মুসলমানদের নিয়ে কথা বলে এদেশে ভোটের বাজার গরম হয় না।


তথাকথিত হিন্দুত্ববাদ নামের টার্ম কে নিপাত যাক নিপাত যাক বলে মুখে ফেনা তুলে তারা সাধারণ মানুষদের ইনফ্লুয়েন্স করে নির্দিষ্ট একটা ধর্মের রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা কায়েম করতে চায়, মানে মুসলিমদের মানবিক দুর্দশার চেয়ে “পলিটিকাল প্রোপাগান্ডা”ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখানে।


ভারতে মুসলিমরা রাষ্ট্রপতি হয়, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি-আদিবাসীসহ সব শ্রেণির মানুষ পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করে। সংবিধান তাদের এই অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা কী? এখানে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হলে, বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? এরা ভারতের মুসলিমদের জন্য কাঁদতে কাঁদতে “ইসলামের রক্ষাকবচ” সাজতে চায়, অথচ এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এমনকি ভিন্ন মতাদর্শের মুসলিমদেরও স্বাভাবিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।


এখানে হিন্দুদের জমি দখল করা, তাদের মন্দির ভাঙা যেন নিত্যদিনের ডালভাত। ভিন্ন মতের মুসলিমরাও এখানে নিরাপদ নেই, এখানে মাঝার অবদি ভাঙ্গা হয় সের্ফ মতের অমিলের কারণে।


ভারতের মতো একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রে “ভালো-মন্দ” সবকিছু মিলিয়ে মুসলিমরা তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে সরব হতে পারে। তারা বিক্ষোভ করতে পারে, সাংস্কৃতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে, ধর্মীয় রাজনৈতিক সংঘটন গড়ে তুলতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশে সংখ্যালঘুরা তো দূরের কথা, ভিন্নমতাদর্শের মুসলিমরাও তেমন সুযোগ পায়না।

ভারতীয় মুসলিমদের জন্য "ফেইক কান্না" বাদ দিয়ে নিজেদের সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজবে না তারা কখনোই।


সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ