হিন্দুরা চট্টগ্রামের আইনজীবীকে হত্যা করেছে কীনা সে প্রসঙ্গে স্বপন মজুমদারের পোস্ট

হিন্দুরা কি চট্টগ্রামের আইনজীবীকে হত্যা করেছে কীনা সে প্রসঙ্গে স্বপন মজুমদারের পোস্ট
 

২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন বাতিল হওয়ায় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করছিল। এসময় তৃতীয় একটি পক্ষ তাদের উপর হামলা করে। পুলিশ বাঁধা দিতে গেলে তিন পক্ষের মধ্যে মরামারি শুরু হয়। এরকম অবস্থায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম জজ আদালতের এপিপি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। হিন্দুবিদ্বেষী ইসলামবাদীরা এই হত্যার জন্য ইসকনকে দায়ী করে। অথচ কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এমতাবস্থায় স্বপন মজুমদার তার ফেসবুক একাউন্টে নিচের পোস্টটি দেন।



চাক্ষুষ জবানবন্দি :

কোর্ট বিল্ডিং থেকে নামছি - দেখলাম শান্ত প্রতিবাদ করছে সনাতন সম্প্রদায় - হঠাৎ করেই 

বেদড়ক পিটুনি এবং কোথা থেকে নারায়ে তকবির আওয়াজ তুলে একদল জনতা ইট পাটকেল মারা শুরু করলো l 

আমি মুসলমান দ্বন্ধে পড়ে গেলাম কোনদিকে যাবো l আমার মস্তিষ্ক একটি যুক্তিভিত্তিক বিবেচনা করতে শিখেছে l

কিন্ত আমি দেখলাম অযৌক্তিক ক্রিয়াকর্মকান্ডে l

এক পর্যায়ে বাঁচার জন্য কিছু তরুন মসজিদে ঢুকে পড়লো ইটপাটকেল মসজিদের গায়েও লাগলো l

কোনো সনাতন মসজিদে ইট মারেনি l 

খুব চমৎকার চারিদিকে গুজব হয়ে উঠলো 

হিন্দুরা মসজিদে আক্রমণ করেছে l 

লালদিঘির মাঠ থেকে হাঁটতে হাঁটতে আন্দরকিল্লার দিকে আসছি দেখলাম মসজিদ আক্রমনের গুজবে সাধারণ মুসলিম হিন্দু প্রতিরোধে নেমে পড়লো l 

বুঝে গেলাম এখনি শুরু হবে পারস্পরিক আক্রমন হলোও তাই l 

খুব অসহায় লাগলো দৌড়াদৌড়ি করে এক বন্ধুর অফিসে ঢুকে পড়লাম l

দেখলাম বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অসহায় হিন্দু জনগোষ্ঠীকে কিভাবে দেখে l 

নিজেকেও অসহায় এক হিন্দু মনে হলো l

আশেপাশের মানুষজন বলছে হিন্দুদের অনেক ফাজলামি বাড়ছে - 

আমি বললাম ৫ই আগষ্ট তো কথা বলার কথা -

শান্তিপূর্ণ ভাবে তার মত প্রকাশ করার কথা l

আমার সাথে বি এন পি এর অনেক নেতা ও ছিল তারাও বললো প্রশাসন অহেতুক ঝামেলা করছে l 

তারা আরো বললো ব্রম্মচারী চিন্ময় প্রভু কে গ্রেফতার কোনো মানেই হয় না l 

সরকার আওয়ামীলীগের মতো জনগন দেখে ভয় পাচ্ছে l 

লজ্জা লেগে উঠলো আমার কারণ এই সরকারের আমি ও একটা অংশ l 

কী করবো ঢাকায় ফোন করলাম বললাম কার নির্দেশে করছে?  

বলছে সরকার এখন আর কাউকে মিত্র মনে করে না l 

তাহলে আমরা কারা?  সরকার কে?

মতামত : সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সদস্য নিয়ে এলাকাভিত্তিক সম্প্রীতি মোর্চা তৈরি করা যাকে inclusive বলে l রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া সরকার চলবে না l কিন্তু আমাদের এই সরকার টিকিয়ে রাখা দরকার l


সূত্র: ফেসবুক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ