ঝিনাইদহের দুর্গামণ্ডপে জামায়াত নেতার বক্তৃতায় পাঠকৃত অংশের বাংলা ভাবার্থ– ফাইজান বিন হক

এটা কি সত্যি যে, বেদ পুরানে আল্লাহ এবং হযরত মুহম্মদের কথা উল্লেখ আছে??? নিচের লিখাটি শেয়ার করছি-সত্য জানার জন্য।





ওভার-হাইপড জামায়াতের একজন নেতাকে দেখলাম, হিন্দুদের গীতার কিছু অংশ পাঠ করতে। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে আগ্রহ থাকায় কিছুটা নাড়াচাড়া করার পর উদ্ধার করলাম, উনি মূলত গীতার যে মন্ত্র বা অংশ পাঠ করেছিলেন, সেটা ছিল মহানবি সা. এর আগমনের ভবিষ্যতবাণী।


স্পেসিফিক এই বিষয়ে ডা. জাকির নায়েকের বই আছে। নাম– 'বেদ পুরাণে আল্লাহ ও হজরত মুহাম্মদ (সা)'। জামায়াত নেতা মূলত জাকির নায়েকের এই বই থেকে কিছু অংশ কোট করে পাঠ করেছিলেন।


প্রতিক্রিয়ায়, উপস্থিত হিন্দুরা না বুঝেই উলু দেয়া শুরু করেছিল, অথচ অন্তর্নিহিত ভাব জানা থাকলে হতো হিতে বিপরীত। বইয়ের কিছু অংশ এমন–


'বেদ-পুরাণ রচয়িতা মুণি-মহাপুরুষদের অনেকে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও একত্ববাদ সম্পর্কে মন্ত্রাদি রচনা করেই ক্ষান্ত হননি; বিশ্বমানবতায় শ্রেষ্ঠতম দিকদিশারী হযরত মুহাম্মদ (স) সম্পর্কেও স্পষ্ট তথ্যাদি পরিবেশন করেছেন নির্দ্বিধায়।


শুভানুধ্যায়ী পাঠক-পাঠিকা! লক্ষ্য করুন, বেদ-পুরাণাদিতে 'আল্লাহ', 'রসূল', 'মুহাম্মদ' ইত্যাদির শব্দাবলী কিভাবে ব্যবহৃত হয়েছে:


অস্য ইল্লালে মিত্রাবরুণোরাজা তস্মাৎতানি দিব্যানি পুনস্তং দুধ্য হবয়ামি মিলং কবর ইল্লাল্লাং অল্লোরহসূল মহমদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম ইল্লাল্লোতে ইল্লল্ল। (৯ – অথর্ববেদীয় উপনিষদ)


এতস্মিন্নন্তিরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সমন্বিতঃ

 মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিতঃ (৫)


নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্।

চন্দনাদিভিরভ্য্য তুষ্টাব মনসা হরম্ (৬)


নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে।

ত্রিপুরাসুরনাশায় বহুমায়া প্রবর্তিনে (৭)


স্নেচ্ছৈগপ্তায় শ্রদ্ধায় সচ্চিদানন্দরূপিণে।

তুং মাং হি কিংকরং বিদ্ধি শরণার্থমুপাগতম্ (৮)


– ভবিষ্য পুরাণ: ৩:৩:৩-৫-৮ শ্লোক


ভাবানুবাদ– যথাসময়ে 'মহামদ' নামে জনৈক মহাপুরুষ আবির্ভূত হবেন। যাঁর নিবাস 'মরুস্থলে' (আরব দেশে)। সঙ্গে স্বীয় সহচরবৃন্দও থাকবেন।


হে মরুর প্রভু! হে জগতগুরু! আপনার প্রতি আমাদের স্তুতিবাদ। আপনি

জগতের সমুদয় কলুষাদি ধ্বংসের উপায় অবগত আছেন। আপনাকে প্রণতি জানাই। 


হে মহাত্মা। আমরা আপনার দাসানুদাস। আমাদেরকে আপনার পদমূলে আশ্রয় প্রদান করুন।'


'অল্লো মহমদকং বরস্য..


অনুবাদ: আল্লাহর রসূল মুহাম্মদ (স)-কেই সবাই অনুকরণীয় হিসেবে গ্রহণ কর।'

__


মূলত এই ছিল, ক্লাইমেক্স। ডা. জাকির নায়েকের বই থেকে জামায়াতের স্মার্ট নেতা হজরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে উল্লেখ করা শ্লোক হিন্দু কাছে শুনিয়ে আসলে। হিন্দুরা সেটা এপসেপ্ট করলো। খুব ভালোভাবেই। কিন্তু বিপত্তি নাজিল হলো অন্য দিক দিয়ে। 


– ফাইজান বিন হক


--------

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ