‘আওয়ামী লীগ রাতে ছোবল মেরে দিনে ওঝার নাটক করত’

‘আওয়ামী লীগ রাতে ছোবল মেরে দিনে ওঝার নাটক করত’, ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আওয়ামী লীগ রাতে ছোবল মেরে দিনে ওঝার নাটক করত’, ছবি : কালের কণ্ঠ


বাগেরহাট প্রতিনিধি, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:০০


শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের ওপর কূটকৌশল প্রয়োগ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ হলো নাটকবাজ দল। তারা রাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারত, আর দিনে ওঝা হয়ে বিষ নামানোর নাটক করত। এটা ছিল শেখ হাসিনার কৌশল।

’ 


বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 


মামুনুল হক বলেন, 


প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে। পরিশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।


কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাআল্লাহ। 


তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাস্তবায়ন নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। তাই সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীদের পাহারায় থাকতে হবে। 


মামুনুল হক আরো বলেন, 


২০১৩ সালের ৫ মে গভীর রাতে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছে নবীপ্রেমিক বহু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীকে।


২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পরাজয় শুরু হয়। খুনি হাসিনা, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, হাতুড়ি লীগ, হেলমেট লীগ সশস্ত্র অবস্থায় এ দেশের শান্তিপ্রিয় কোমলমতি ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল, আর গুলি করে একের পর এক হত্যা করা হলো আমাদের সন্তানদের।’ 


হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন,


‘হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা যত খুশি মূর্তি বানান আমরা পাহারা দেব। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে কারো বাবার মূর্তি বানানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। যারা রাষ্ট্রের অর্থে বাবার মূর্তি তৈরি করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’


আলেম সমাজ ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারায় আছে উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, 


‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না। বাংলাদেশের আলেম সমাজ, ইমাম সমাজ, এ দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এক মাস পর্যন্ত হিন্দুদের, বৌদ্ধদের, খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এই দেশে সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ধরে রাখব। এই দেশ মুসলমানের, এই বাংলাদেশ হিন্দুদের, এই বাংলাদেশ বৌদ্ধদের, এই বাংলাদেশ খ্রিস্টানদের। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার বাংলাদেশ। এই দেশ এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’ 


দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 


‘শেখ হাসিনা মোদি সরকারের অধীনে রয়েছে। কিন্তু সেখানে বসে যদি আমাদের এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তবে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশকে আর কখনোই পেছনে নিতে পারবে না।’


বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মুফতি রমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত জালালী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন খান প্রমুখ।


সূত্র: কালের কণ্ঠ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ