নতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে গেল ঐতিহাসিক নিদর্শন কান্তজী মন্দির, কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর

নতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে গেল ঐতিহাসিক নিদর্শন কান্তজী মন্দির 😢 কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর

নতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে গেল ঐতিহাসিক নিদর্শন কান্তজী মন্দির 😢 কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর

নতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে গেল ঐতিহাসিক নিদর্শন কান্তজী মন্দির 😢 কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর


- নতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে গেল ঐতিহাসিক নিদর্শন কান্তজী মন্দির, কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর -


আগামী ৭ ই নভেম্বর ২০২২(২০ ই কার্তিক ১৪২৯ বাংলা) সোমবার, শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দিরে ১ মাস ব্যাপী রাসমেলা।


রাসমেলা উপলক্ষে কান্তজী মন্দির যেমন বর্ণিল সাজ সজ্জিত ভাবে সেজে উঠা শুরু করেছে তেমনি লক্ষ লক্ষ  ভক্ত ও পূর্ণ্যার্থীরাও অধির আগ্রহে আছেন রাস উৎযাপনের জন্য।


ঠিক এইরকম মুহুর্ত্তে কান্তজী মন্দির নিয়ে মনটা 'বিষাদময়', কারণঐতিহাসিক টেরাকোটার নিদর্শন এই মন্দিরটি এতদিন বাংলাদেশ পার্সপোট বইয়ে ১২ ও ১৩নং পৃষ্ঠায় জলছাপে উজ্জ্বল করে দেখা গেলেও বর্তমানে সেটা মুছে দেওয়া হয়েছে 😢 


কান্তজী মন্দির ব্যথিত  অন্যসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ছবি আগের মতো সব ঠিকঠাক থাকলেও নেই শুধু কান্তজী মন্দিরের জলছাপ।

অবশ্য সেটা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়,  কিন্তুু শুধুমাত্র কান্তজী মন্দির না থাকায় উঠছে নানান প্রশ্ন????


১৯৬০ সালে তত্কালীন সরকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিভাগ এই মন্দিরকে প্রাচীন কীর্তি ঘোষণা করে। এছাড়াও অবিভক্ত ভারতের এগারো তম আশ্চর্য ছিল কান্তজী মন্দির। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানে দেশ বিদেশী অনেক রাষ্ট্রদূত,মন্ত্রী,আমলা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দিনাজপুরে আসেন কান্তজী মন্দির দর্শন করে মুগ্ধ হয়নি এমন সংখ্যা নেই,গুরুপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও দেশে দেশের বাইরের কটি কটি ভক্ত ও পূর্ণ্যার্থীরা কান্তজী মন্দিরে আসেন মন্দিরের প্রার্থনা করেন সেই সাথে মন্দিরে নিদর্শন ও কারুকার্যখচিত দেখেও সকলেই মুগ্ধ ।


দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টান এতদিন পাসপোর্টে স্থান পেলেও নুতুন পাসপোর্ট থেকে মুছে দিয়ে!! দেয়া হয়েছে অন্য ছবি।


কর্তৃপক্ষের কাছে জোরদাবি জানাচ্ছি পাসপোর্টে পুনরায় কান্তজী মন্দিরের ছবি আবারো ব্যবহৃত করা হোক,,,,


এবং তীব্র নিন্দা জানাই যারা কান্তজী মন্দিরকে একটি জাতিগোষ্ঠীর সম্পদ মনে করে পাসপোর্ট থেকে মন্দিরের ছবি মুছে দিয়েছেন।


মন্দিরটি বাংলাদেশের দিনাজপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের কান্ত বা শ্রীকৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত যা লৌকিক রাধা-কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রার্থনা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। ধারণা করা হয়, মহারাজা সুমিত হর কান্ত এখানেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে এই মন্দিরের কিছু অংশ ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এর আগে রাবণেষু, জন হেনরি এর ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তোলা ছবি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ