আমাদের সনাতন ধর্মে, লাভ-জিহাদ এবং ধর্মান্তর প্রকট আকারে বেড়ে গেছে। তার কারন অন্য ধর্মের মানুষের তৎপরতা রয়েছে। তবে আমাদের নিজেদের অনেক দোষ রয়েছে এটা কি আপনারা খুঁজে বের করেছেন বা চেষ্টা করেছেন!
আপনাদের কাছে এখন উত্তর হবে ছোট থেকে পারিবারিক শিক্ষা দেয়া হয় না, আমরা ঠিকঠাক নিয়ম জানি না এইতো। আসলে কিন্তু ভিন্ন আরো কিছু বিষয় আছে আমি সাধারণ ভাবে কিছু তুলে ধরছি।
আপনি জানেন কি না, মুসলিম সম্প্রদায় তারা তাদের ধর্মের নেগেটিভ বিষয় জানলেও সেগুলো লুকিয়ে রাখে বা ভিন্ন অনেক যুক্তি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে কিন্তু তারা কখনো ধর্ম পরিবর্তন করে না। তার কারন জানেন?!
তার কারন হচ্ছে, তারা ধর্ম নিজেদের জন্য ধারন করে, নিজেদের জন্য মানে, তারা তাদের আত্মীয়, বন্ধু, পিতা-মাতা তাদেরকে বেশি মূল্যবান ভাবে। আমি ইদানীং লক্ষ্য করেছি আমাদের মধ্যে ঐক্যতা কম, নিজে বাঁচলেই হলো, নিজের ধর্মের লোকদের প্রতি যে আন্তরিকতা থাকা উচিত সেদিক দিয়ে পিছিয়ে। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ কিন্তু শত্রুকেও বিপদের সময় সাহায্য করে কারন তারা জাত ভাই ভাবে একে অন্যকে।
আপনাদের কাছে অনুরোধ যে বা যারা আপনাদের সাথে ধর্ম নিয়ে বাক-বিতণ্ডা করতে আসে তাদেরকে উত্তর দেয়ার জন্য আপনি বাধ্য নন। তাদের কাছে প্রমান করতে হবে কেন? তারা তো আপনার ধর্মের নিয়ম -কানুন মেনে চলবে না। ধর্ম একটি পবিত্র জিনিস। এটা ধারন করবেন, জানবেন নিজের জন্য, নিজের জীবন-প্রনালী সমৃদ্ধ করার জন্য। এটা নিয়ে যত বাক-বিতন্ডায় জড়াবেন তত দ্বিধায় জড়াবেন। প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন আসবে, আপনাকে ঘায়েল করে ফেলবে। আপনি অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারার কারনে নিজের আত্মসম্মান হরন হয়ে গেছে ভাববেন এবং অবশেষে তার কথাতেই সব ঠিক তাই ভাববেন।
পৃথিবীতে যার ধর্ম যেটাই হোক, একই বিষয় তুলে ধরা আছে। এমন নয় যে আপনি আরেক ধর্মে চলে গেলে আপনার কোন কর্ম করতে হবে না কর্ম সব ধর্মেই করতে হবে। বরং আমার কাছে মনে হয়, আমাদের ধর্মের মত সহজ ও সুন্দর ভাষা কোথাও নেই।
তাই ধর্ম জানুন নিজের জন্য, নিজের জীবন-প্রনালী সমৃদ্ধের জন্য কারো কাছে প্রমানের জন্য নয়।
ইতিহাস ঘেটে দেখবেন, এই প্রমান, আর এই উত্তরের খেলাতেই অন্য সম্প্রদায় সনাতনীদের সুযোগ নিয়েছে। সনাতনীরা তাদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। তাই কারো কথাতে পা না দিয়ে, নিজের যুক্তিতে ভাবুন। সব কিছু সহজ লাগবে।
অজন্তা
0 মন্তব্যসমূহ