পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে |
বাঙলা ট্রিবিউন রিপোর্ট, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:২৬
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মহা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান সদরে রাজার মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহতী ধর্মসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন,
পার্বত্য এলাকায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হলে একই এলাকায় একটি মসজিদ হয়, আর একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করাটা বাধ্যতামূলক কাজে পরিণত হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা এবং সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সময়েও কাজ করেছে, এবারও করছে এবং আগামীতেও সবার কল্যাণে কাজ করে যাবে।’
তিনি বলেন,
‘আওয়ামী লীগ সরকার যতবরাই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। আর সব ধর্মের উৎসবগুলো যাতে সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।’
পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
মন্ত্রী বলেন,
‘আগে পার্বত্যবাসীদের চলাচলের পথ ছিল খুবই দুর্বিসহ। আওয়ামী লীগ সরকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি করে দেওয়ায় সম্প্রীতির নগরী পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক আধুনিক ও উন্নত হয়েছে।’
বীর বাহাদুর উশৈসিং আরও বলেন,
‘পার্বত্য এলাকার নবপ্রজন্ম আধুনিক ও শিক্ষিত জাতির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে এগিয়ে যাবে।’
মহতী ধর্মসভায় বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অঞ্জন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহআলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, মো. ফজলুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাশ, বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা এবং সনাতনী সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মহতী ধর্মসভা শেষে বান্দরবানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বীর বাহাদুর উশৈসিং।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন
0 মন্তব্যসমূহ