‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তধর্মীয় সংলাপ-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। বৃহস্পিতবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, ছবি: প্রথম আলো |
প্রতিনিধি, গাজীপুর, প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ২১: ৩১
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, অনেকে নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। এ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন কিন্তু হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তধর্মীয় সংলাপ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আল শাহীন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,
‘আমরা সবাই বাংলাদেশি ও আমরা বাঙালি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভেতরে ভেদাভেদের কোনো প্রশ্ন আসতে পারে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই, বাঙালি হিসেবে থাকতে চাই।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম এ বারী, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম ইসমাইল হোসেন মিয়া, অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম, কাপাসিয়ার ইউএনও এ কে এম গোলাম মোরশেদ খান, কালিয়াকৈরের ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, গাজীপুর সদরের ইউএনও সৈয়দ মোরাদ আলী, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব, ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন, গাজীপুর জেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি কামরুল ইসলাম, গাজীপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের খতিব আকতার হোসেন প্রমুখ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন,
‘আজকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশ পা ফেলেছে। ২০৪১ সালে এটা উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে শামিল হবে। অনেকে মনে করেন কী করে এটা সম্ভব যে আমেরিকার মতো এ দেশ হবে, রাশিয়ার মতো এ দেশ হবে, সুইজারল্যান্ডের মতো এ দেশ হবে। আসলেই এটা সম্ভব। আমাদের ১০টি মেগা প্রকল্প আছে। আজকে এক পদ্মা সেতু থেকে আমাদের পারডে ইনকাম হলো ৩০০ কোটি টাকার ওপরে। এতে বছরে যে অঙ্ক দাঁড়ায়, একসময় আমাদের দেশের বাজেটও এত টাকা ছিল না।’
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ফরিদুল হক আরও বলেন,
এবার চালু হয়েছে মেট্রোরেল। এখানকার আয় থেকে জিডিপি ২ ভাগ বেড়ে যাবে। ঠিক তেমনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলটি যখন চালু হবে, তখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে প্রায় অর্ধেক। এতে তেলের খরচ অর্ধেক কমে যাবে। সময়ও লাগবে অর্ধেক। বাকি অর্ধেক সময় মানুষ অন্য কাজে লাগাতে পারবে। এ ছাড়া টানেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেওয়া ট্যাক্সের সঙ্গে যোগ হবে। আরও সাতটি মেগা প্রকল্প যখন হয়ে যাবে, তখন জিডিপির হার বেড়ে যাবে বর্তমান সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,
‘দেশ যখনই এগিয়ে যায়, তখনই একশ্রেণির মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
0 মন্তব্যসমূহ