২০ বছর পর ১১ হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

২০ বছর পর ১১ হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার


বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতি‌নি‌ধি | ২২ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৫৬


চট্টগ্রা‌মের বাঁশখালীর সাধনপুরের শীল পাড়ায় ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ১১ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আমিনুল হক প্রকাশ আমিলিক্যাকে ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।


বুধবার (২২মার্চ )দুপুরে বাঁশখালী থানা প্রদত্ত বার্তায় জানা যায়, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি )মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সাধনপুর এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ১১ হত্যা মামলার পলাতক আসামি খান খানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা এলাকার অছি উদ্দিনের পুত্র আমিনুল হক প্রকাশ আমিলিক্যা এলাকায় আসার খবরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ।


তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানার মামলা নং-১২, (১৯/১১/২০০৩খ্রিঃ) জিআর-১৯৯/২০০৩, ধারা-৩৯৬/৪৩৬ পেনাল কোড এর পরোয়ানার ফলে সে দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে ছিল।


উল্লেখ্য যে, ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের তেজেন্দ্র লাল শীল এর ঘরের দরজার বাহির থেকে তালা দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে নারী-শিশুসহ ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।


সেদিনের ঘটনায় হত্যার শিকার ১১ জন হলেন- তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল শীল (৬০), ছেলে অনিল শীল (৪০), অনিলের স্ত্রী স্মৃতি শীল (৩২), অনিলের তিন সন্তান রুমি শীল (১২), সোনিয়া শীল (৭) ও চার দিন বয়সী কার্তিক শীল, তেজেন্দ্র শীলের ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদি শীল (১৭), অ্যানি শীল (৭) এবং কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা আত্মীয় দেবেন্দ্র শীল (৭২)।


বর্তমানে চাঞ্চল্যকর ১১ জন হত্যা মামলাটি চট্টগ্রাম বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষীরা নিয়মিত সাক্ষী না দেওয়ায় দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যাচ্ছে মামলার রায় পেতে ।


এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি ) মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, চাঞ্চল্যকর ১১ হত্যা মামলার আসামি এলাকায় আসার খবরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমিনুল হক প্রকাশ আমিলিক্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ অপরাধ নির্মূলে সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাবে বলে তিনি জানান ।


সূত্র: দেশ রূপান্তর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ