হিংসা থামছে না বাংলাদেশে, নোয়াখালির পর এবার ফেনী, একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ইসলাম কট্টরপন্থীদের

হিংসা থামছে না বাংলাদেশে, নোয়াখালির পর এবার ফেনী, একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ইসলাম কট্টরপন্থীদের

 Written By Tina Published On Monday, October 18th, 2021, 12:54:37 PM


বাংলাদেশে চলছে হিংসার পরিবেশ। বিগত কয়েকদিনে একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনার খবর উঠে এসেছে। এবার ফের বাংলাদেশের ফেনী জেলা থেকে হিংসার খবর মিলল।


গত শনিবার বাংলাদেশ হিন্দু বন্ধন পরিষদের তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়, “নোয়াখালির পর এবার ফেনী। ফেনীতে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। মন্দিরে হামলা, আহত একাধিক”।


এছাড়াও এই পরিষদের তরফে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করা হয় যাতে দেখা যাচ্ছে কট্টরপন্থী মুসলিমরা হাতে লাঠি নিয়ে এক জায়গায় জমায়েত করেছে ও তারপরি ফেনী জেলার নানান হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে তারা।


বিডিনিউজ২৪ এর সূত্র অনুযায়ী, হিন্দুরা যখন চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালি জেলার দুর্গামন্দির হামলা, দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে, সেই সময় এই কট্টরপন্থী মুসলিমরা তাদের উপর হামলা করে। শনিবার বিকেল ৪.৩০টে থেকে রাত ১১.৩০টা পর্যন্ত নানান হিন্দু মন্দিরে হামলা, লুটপাট চালায় মুসলিমরা।


বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধিক-খ্রিস্টান বন্ধন পরিষদের সম্পাদক সুখদেব নাথ তপনকেও জয়কালী মন্দিরের কাছে হামলার মুখে পড়তে হয় বলে জানা গিয়েছে। এই জয়কালী মন্দির থেকে শুরু করে পুরনো ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ট্রাঙ্ক রোড পর্যন্ত হিন্দুদের একটি মিছিল বের করার কথা ছিল। সেই ট্রাঙ্ক রোডের বড় মসজিদের কাছেই জমা হয় মুসলিমরা। এরপর লাঠি, বাঁশ দিয়ে হামলা করা হয় হিন্দুদের উপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এমনকি, দুষ্কৃতীদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়ে পুলিশ।


পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, এই সংঘর্ষের জেরে ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুখদেব নাথ তপনের কথায়, জেলাপ্রশাসক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাঠাতে দেরি করেছে। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীরা কালিপালের কাছে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একাধিক হিন্দু মন্দির যেমন জয়কালী, জগন্নাথবাড়ি, কালীবাড়ি মন্দির, গাজিগঞ্জ আশ্রমে তারা হামলা চালায়।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, এই হামলাকারীরা জামাত-ই-ইসলামির শাখা ইসলামি ছাত্র শিবিরের ছাত্র। স্থানীয় সমাজকর্মী ও বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা তাদের আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু কোনও লাভ হয় না।


সূত্র: www.khabor24x7.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ