লামায় গভীর রাতে পুড়েছে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৭ ঘর

পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘর
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘর
 

লামা (বান্দরবান) সংবাদদাতা, প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০৪


বান্দরবানে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের টঙ্গঝিরি নতুন পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৭টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। 


ওই পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে পাশের টঙ্গঝিরি পাড়ায় অনুষ্ঠান চলছিল। নতুন পাড়ার বাসিন্দারা সবাই সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এ সময় ওই পাড়ার ১৯টি ঘরের মধ্যে ১৭টিই পুড়ে গেছে। 


সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস জানান, সরই ইউনিয়ন সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে টঙ্গঝিরি এলাকায় পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের একশ একর জায়গা রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেখানকার বাগানে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আশপাশে এলাকার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৭টি পরিবার ওই জায়গা দখলের জন্য অস্থায়ী জুম ঘর নির্মাণ করে। নাম দেওয়া হয় টঙ্গঝিরি নতুন পাড়া। 


জানা গেছে, ওই স্থানে ঘর নির্মাণ হলেও মালিকরা তাদের আগের পাড়াতেই বসবাস করতেন। তবে সরকার পতনের পুর ওই জায়গার দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্য বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র হলে সম্প্রতি গুংগা মনি ত্রিপুরা একই এলাকার ৫ জন ত্রিপুরাকে অভিযুক্ত করে লামা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার গভীর রাতে আকস্মিকভাবে ১৭টি বসতঘর পুড়ে যায়।


গংগা মনি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, বড় দিন উপলক্ষে আমরা গির্জায় প্রার্থনা করতে গিয়েছিলাম। গভীর রাতে পাড়ায় এসে দেখি আগুন। নিকটবর্তী কোথাও পানির সুব্যবস্থা না থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানা যায় নি। 


এ বিষয়ে লামা ইউএনওর দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে ৩৪টি কম্বল ও শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।


অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বলেছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে লিখিত আকারে দিতে। 


লামা থানার ওসি এনামূল হক ভূঞা বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা কিছু অভিযোগের কথা বলেছেন, সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।


ইত্তেফাক/জেডএইচডি


সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ