অনলাইন ডেস্ক, ২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:৫৫
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুরের সময় হাতেনাতে এক যুবক কে আটক করা হয়েছে। আটক মাদ্রাসা ছাত্র রাব্বি হোসেন রাজশাহীর একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। তার বাড়ি বাঘা পৌরসভার নারায়ণপুর সড়কঘাট এলাকা কলিগ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রাব্বি বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া পালপাড়া, ঘোষপাড়া ও বাঘা পৌরসভার কলিগ্রামের পুণ্ডরীপাড়া মন্দিরের তালা ভেঙে মন্দিরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও প্রতিমা ভাঙচুর করেন।
এ কাজে একটি লোহার পাইপ ব্যবহার করেন তিনি। কলিগ্রাম পুণ্ডরীপাড়া মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়।
ভাঙচুরের কারণ জানতে চাওয়া হলে সে জানায় ভারতের পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সে কারণে সে মন্দির ভাঙচুর চালিয়েছে সে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় রাব্বি হোসেনের নামে মামলা করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: নিউজ২৪বিডি
1 মন্তব্যসমূহ
BDNews24 তে এই খবরটিও পড়ুন এই লিংকে https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/ec384179174e
উত্তরমুছুনরাজশাহীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় যুবক গ্রেপ্তার
পালপাড়া, ঘোষপাড়া ও বাঘা পৌরসভার কলিগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করেন বাপ্পি।
রাজশাহীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় যুবক গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাঘায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় এক যুবককে আটক করা হয়।
রাজশাহী প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Aug 2024, 02:35 AM
facebook sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কালিগ্রাম দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় তাকে আটক করা হয় বলে বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান।
আটক বাপ্পি হোসেন (২৫) বাঘা পৌরসভার কলিগ্রামের মিঞাপাড়া গ্রামের জমসেদ আলী ভেগলের ছেলে। বাপ্পি এক সময় মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন। দুই বছর ধরে তিনি বাড়িতেই আছেন। মাঝেমধ্যে রিকশাভ্যান চালান। তিনি তাবলিগ জামাতে যেতেন।
এ ঘটনায় উপজেলার কলিগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি অরুন সরকার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পালপাড়া, ঘোষপাড়া ও বাঘা পৌরসভার কলিগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করেন বাপ্পি। সর্বশেষ কালিগ্রাম দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় তাকে হাতে-নাতে আটক করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। পরে তারা বাপ্পিকে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
বাদী অরুন সরকার বলেন, সকাল ৬টার দিকে মন্দিরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন বাপ্পি। ঢুকেই তিনি প্রতিমা ভাঙচুর করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে আটক করেন।
বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি মন্দিরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করার কথা স্বীকার করেছেন। আবেগ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তিনি জানান।
“বাপ্পি পুলিশকে বলেছেন, বোনের ফোনে দেখেছেন, ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এই ভিডিও দেখে তিনি সারারাত ঘুমাতে পারেননি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একাই মন্দির ভাঙতে গেছেন।”
ওসি বলেন, “তবে এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার পর বাঘার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”