‘হিন্দুদের রক্ষায়’ জাতিসংঘের সহায়তা চায় সনাতনী জাগরণ জোট

‘হিন্দুদের রক্ষায়’ জাতিসংঘের সহায়তা চায় সনাতনী জাগরণ জোট, ফাইল ছবি।
‘হিন্দুদের রক্ষায়’ জাতিসংঘের সহায়তা চায় সনাতনী জাগরণ জোট, ফাইল ছবি।
 

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সংগঠনটি নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।


চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 09 Dec 2024, 10:28 PM, Updated : 09 Dec 2024, 11:35 PM


বাংলাদেশে ‘হিন্দুরা ভালো নেই’ অভিযোগ করে তাদের রক্ষায় জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।


সোমবার সংগঠনটি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সহায়তা চাওয়ার কথা তুলে ধরে।


দাবি আদায়ে সভা সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়ম 


“অতীতের অন্যান্য সরকারের মত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও হিন্দুদের দমন করার চেষ্টা করেছে।”


মঙ্গলবার-১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি জানাতে এ বিজ্ঞপ্তি দেয় সংগঠনটি। এতে চোখ-মুখে কালো কাপড় বেঁধে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে রেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।


জোটের অন্যতম সংগঠক গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার গীতাজয়ন্তী উপলক্ষে প্রত্যেক মন্দিরে চিন্ময় দাসের মুক্তি কামনায় গীতাপাঠ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, 


“চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের শুনানিতে আদালত প্রাঙ্গনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার দোষ চাপানো হয়েছে নিরীহ হিন্দুদের উপর। ঘটনার পর থেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হিন্দুদের হয়রানি করা হচ্ছে।


“সারাদেশে ইসকন ট্যাগ দিয়ে সাধারণ হিন্দুদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আদালতে যেসব আইনজীবী অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের নামে মিথ্যা মামলা, চেম্বার ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।”


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 


“শেখ হাসিনা সরকারকে মানুষ বিতাড়িত করেছিল মানুষের বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণ করার জন্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেসব কাজ করলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে?


“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো কথা বা জাতিসংঘের নিয়মনীতি তিনি মানছেন না। আজকের এই দিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষায় জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করছি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এই দিনে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো নেই। তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের।”


আট দফা দাবি আদায়ে সম্মিলিত সনাতনী জোটের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে এ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামে সনাতনীরা।


এরমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ২৬ নভেম্বর জামিন নাকচ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম।


ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যায়।


বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।



সূত্র: বিডিনিউজ২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ