নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় প্রসঙ্গে

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় প্রসঙ্গে

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষকের সংখ্যা হিন্দুবিদ্বেষী মুসলমানদের বুকে জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। তারা ফেসবুকে শিক্ষক তালিকা প্রকাশ করে হিন্দুবিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকে। এ বিষয়ে ফণী ভূষণ রায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন-


বিদ্যালয়টি আমার গ্রামের পাশের গ্রামে অবস্থিত। 


এখানে একই পরিবারের বেশ কয়েকজন আছেন এটাই সত্যি। এখানে একই পরিবারের সদস্য হলেও প্রধান শিক্ষক তার দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন সবসময় এবং সবাই উচ্চ শিক্ষিত। এবং বরাবর উক্ত বিদ্যালয়ের রেজাল্ট অনেক ভালো। এখানে মুসলিম শিক্ষকও আছেন তাদের লিস্টে রাখা হয়নি।


স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তারা, বেতন ছাড়া শিক্ষকতা করেছেন বহুবছর, জমি দাতা তারা, বেহাল অবস্থা ছিল স্কুলের কেউ শিক্ষকতা করতে রাজি হননি, কিন্তু তারা কেউ কোনদিন অনুপস্থিত থাকেননি। এভাবে গুজব ছড়িয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানটিকে নষ্ট করবেন না।


নিজের জমিতে নিজেই বিদ্যালয় দিয়ে বছরের পর বছর বিনা পয়সায় শিক্ষকতা করে, একটা বিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান হওয়ার সম্পূর্ণ শর্ত পূরণ করার পর তাদের বিদ্যালয় সরকার স্বীকৃতি সহ তাদের বেতন করে দিয়েছে।


নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় প্রসঙ্গে

অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরির সময় কোন মুসলমান সামান্যতম সাহায্য করেনি। হিন্দু প্রধানশিক্ষক নিজে চেষ্টা করে, আত্মীয়স্বজনের সাহায্য নিয়ে, খেয়ে না খেয়ে, অনেক কষ্ট করে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে একটা স্কুল দাড় করিয়েছেন। উল্লেখ্য, সেখানে মুসলিমদের ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্য একজন মুসলিম শিক্ষকও আছেন। বিপরীতে অনেক সরকারি হাইস্কুলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হিন্দু ধর্ম পড়ানোর জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক নেই। এরকম হিন্দুবিদ্বেষী ঘটনার জন্য কারও কোন কথা নেই।

অনেক চেষ্টার পর স্কুলটি সরকারের এমপিওভুক্ত হবার পর এখন সেটাতে কর্মরত হিন্দু শিক্ষকদের সরিয়ে মুসলমানরা স্কুলের ইসলামীকরণ করার পায়তারা করছে, হিন্দুবিদ্বেষী ষড়যন্ত্র করছে।


সূত্র: ফেসবুক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ