মুসলিম হওয়ার দাওয়াত পেলে করণীয় কী?

 একজনের প্রশ্ন:


নমস্কার

সেই স্কুল থেকে এখন অব্দি কয়েকটা বিধর্মী ফ্রেন্ড থেকে মুসলিম হওয়ার জন্য ইনভাইট পাচ্ছি, তারা সবসময় কিছু কথা বলে যে, তোদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া ছাড়া বিয়ে করে না বাট আমাদের ধর্মে বিয়ে করার পর সবদিকে বরকত আসে, মরলে দাহ করার সময় সবাই দেখে বাট আমাদের মরার পর কোনো পুরুষ দেখতে পারে না, আরও বলে যে আমরা নাকি মৃত শরীরটাকে পুড়িয়ে কষ্ট দিয়ে থাকি, আমায় নাকি হিজাবে ভালো দেখাবো আর ও বলে যে আমরা নাকি বেপর্দা চলি, আমরা কখনো জান্নাতে যাবো না, আমরা নিজেই প্রতিমা বানাচ্ছি নিজেই পূজো করছি, প্রাণ ছাড়া কেমন ভগবান হয় এমন অনেক কিছু.... 


আমি তাদের কিভাবে প্রতি উত্তর করবো? ধর্মীয় জ্ঞান মোটামুটি আমার আছে কিন্তু আমাকে যখন এই কথা গুলো বলে তখন  আমার সনাতনী বান্ধবী / বন্ধুরাও থাকে, তবে ওরা জিনিসটা মজায় নিয়ে নেয় কিছু না বলে হাসাহাসি করে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে উত্তর দেই। কিন্তু ওরা অনেকজন আমি একা তাই ভেবে চুপ করে যাই। আগে বিষয়টা সিরিয়াস নিতাম না। কিন্তু ওরা আমাকে এখন দেখা হলে বা কোথাও আমাকে পেলে এসব বুঝাতে শুরু করে, যার কারণে আমার এখন বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় লাগে। আমি জানি আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ। কিন্তু ভয় লাগে আমার দ্বারা যেনো কিছু না হয় তাই আমি চাই ওদের উল্টা জবাব দিতে। কী উত্তর দেয়া যায় ওইসব মুসলিম ফ্রেন্ডদের?


উত্তর:


এড়িয়ে চলেন। আর সরাসরি প্রতিবাদ করবেন। বলবেন- যে দেখ, তুই বান্ধবী আছিস এটাই থাক। লিমিট অতিক্রম করিসনা। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবিনা। আমার ধর্ম আমার কাছে শ্রেষ্ঠ। বন্ধুত্ব যদি রাখতে চাস, ধর্ম নিয়ে আর কখনও আমার সামনে আলোচনা করবিনা। মুখের উপর একদিন বলেন। আর সাহস পাবেনা বলতে।


বিয়ে করলে বরকত আসে? তাইতো বিশ্বের গরীব দেশগুলো মুসলিম।


সরাসরি বলে দেন। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কথা না বলতে।


তাদের পাত্তা দিবেন না। 

এটা খুব খারাপ। 

আমি জব করি, এখানে এসে ধর্মীয় ভাবে এত বেশি হ্যারেসমেন্ট হচ্ছি তা বলার বাহিরে।

আমার কানে একটা স্বর্নের বুট আছে। হাতে দূর্গা পূজার বর, সবসময় এসব নিয়ে নানান কথা বলে।

আমি বার বারই পাত্তা দি না।

এড়িয়ে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

কিছু বলিও না।

কারণ কিছু বল্লেই তাদের গায়ে লেগে যাবে।

পরে আমারই বিপদ। 

এখানে আমার পরিচিত কেউ নেই।

নিজের সেফটি গুরুত্বপূর্ণ।


আপনার পিছনে কেউ নেই এই ভেবে হয়তো আরো বেশি করে,

হয়তো আপনাকে বিভ্রান্ত করে মুসলিমে কনভার্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আপনি সব সময়ে এগুলো এরিয়ে চলবেন, আপাতত কোনও প্রতিবাদ করার দরকার নেই, আপনি বেদ, উপনিষদ, মহাভারত ও গীতা সংগ্রহ করে পড়তে থাকুন, অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং তখন তাদেরকে অনেক প্রশ্নের যুক্তিসংগত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। 


তাৎক্ষণিক কিছু বলতে না পারলে হাসিমুখে স্ট্রেইট বলে দিবেন এসব বিষয় ছাড়া অন্য কিছু বলার থাকলে বল। আমি আমার ধর্মেই খুব ভাল আছি। তোমাদের বা অন্য কোন ধর্ম সম্পর্কে জানার আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।



হালালা কি? এই প্রশ্নটা করবেন। নারীদের মৃত্যুর পর জান্নাতে কি সুবিধা আছে? মসজিদে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ কেন? হিজাব পরা, পর্দা করা এগুলো মেয়েদের জন্য কেন? এতে সমস্যা তো পুরুষের।  পুরুষ যদি নিজের দৃষ্টি সংযত করে তাহলে পর্দার প্রয়োজন নেই। যাদের কুদৃষ্টি থেকে কাজিন বোনরাই নিরাপদ নয় তারা অন্য ধর্মের নারীদের কি সম্মান দিবে?


সরাসরি বলেন,  আমার হিন্দুত্ব যাই হোক না কেন আমার কাছে সেরা!

তোদের থেকে আমার শিক্ষা গ্রহণ করা লাগবে না!

আপনি শুরুতে সুযোগ দিসেন বলেই তারা এই সাহস পাইসে!


পাল্টা কয়েকটা প্রশ্ন করেন। আমাদের ধর্মে ভাই বোনের বিয়ে হয় না, অথচ তোদের ধর্মে ভাই, বোন, চাচা, চাচী,মামী, ভাগ্নী, ছেলের বউ, পালক কন্যা, ছেলে মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি সবাইকে বিয়ে করা যায়! জামাই চাইলে অসংখ্য বিয়ে করতে পারে কিন্তু একসাথে ৪ টা রাখতে পারবে, তারপর একটা ছেড়ে একটা বিয়ে করতে পারবে, দাসী রাখলে তার সাথে স্ত্রীর মতো থাকতে পারবে, যুদ্ধে পুরুষদের মেরে নারীদের ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যার যেমন খুশি ধর্ষণ করতে পারে, কোনো নারী ধর্ষিত হলে চারজন পুরুষ স্বাক্ষী না হাজির করতে পারলে অভিযোগকারীকেই সাজা দেওয়া হবে, যে নারীর স্বামী আয় করে সে ঘরের বাহিরে যেতে পারবে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না, চার দেয়ালে থেকে শুধু সন্তান উৎপাদন আর লালন পালন এবং বেহেশতে গিয়ে স্বামীর পাওয়া ৭২ হুরের রঙ্গ লিলা উপভোগ করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।


শান্তির ধর্মের দাওয়াত পায়নি এমন সনাতনী নেই বললেই চলে, আমিও পেয়েছি। তবে একবার দাওয়াত দেওয়ার পর আরেকবার দেওয়ার কথা ভাবতেও পারবেনা, যদি তা আপনি মোকাবেলা করতে পারেন। এ সময়  মনকে শান্ত রাখা জরুরি। তাদের প্রশ্নের উত্তর সংক্ষেপে দিয়ে পাল্টা জানার ভঙ্গিতে প্রশ্ন করুন, দেখবেন মুখখানা দেখার মতো হবে 😊


প্রথমতো বলবা, আমি বোরখার মতো বস্তায় চলতে পছন্দ করি না, যেখানে শরীর হাওয়া বাতাস লাগে না, আর যদি বোরখা না পড়লে জাহান্নামে যেতে হয়, তাহলে যারা বোরখা পড়ে টিকটক করে, পার্কে গিয়ে প্রেম করে, সৌদিতে বোরখা পড়ে বেলি ডান্স করে পুরুষদের সামনে, তাদের কি হবে, তারাও কি জান্নাতে যাবে, তারা যদি জান্নাতে যায়, তাহলে আমরা কেন পারবো না, আমাদের শাড়ীতেই নারী সম্মানিত ও প্রশংসিত। বোরখার উৎপত্তি মোহাম্মদের আমলে হয়ছে, তার আগে থেকে শাড়ী পড়ার প্রচলন ছিলো, তাহলে সে মুসলিমগুলো কি তাহলে মোহাম্মদের মা বাবার মতো জান্নাতে না গিয়ে জাহান্নামে যাবে।


ধর্ম টানলে বন্ধুত্ব ত্যাগ করুন। এমন অনেক বন্ধু ছেড়ে দিছি। এদের উত্তর দিবেন, কিন্তু তারা সেটা অবমাননা হিসেবে নিবে, তার পর ক্ষতি করবে। সো বন্ধুত্ব ত্যাগ করেন।


ওদের ই একমাত্র ধর্ম যেটা নিয়ে সবাই বাড়াবাড়ি করে। যেখানে নিজের ধর্মের লোক বাড়ানোর চেষ্টা করে। ওদের ধর্মের সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটাই হচ্ছে নিজেদের ধর্মে টেনে আনা, এইটা নিয়ে কথা উঠলেই আমি সরাসরি বলি যে তোমাদের এই ব্যাপার টা খুবই খারাপ, যার জন্যে অন্য ধর্মের সাথে তোমাদের ঝামেলা হয়। এ কেমন চিন্তা ভাই যে তাদেরটাই ভালো, তারাই সেরা। অথচ ধর্ম মানেই বিশ্বাসের জায়গা।


আপনি যদি সোশ্যালে, কোনো মুসলিম গ্রুপ কখনো ভিজিট করেন, তাহলে দেখবেন ৮০% পরকিয়া, ভাবী, ভাতিজি, কাজিন, ভাবি আর চার বিয়ের সুন্নত এসব কেচ্ছা। কথায় কথায় তালাক।

তাহলে এতো বরকত থেকেও তো লাভ হচ্ছে না?

আমাদের ধর্মে মেয়েদের কিভাবে ট্রিট করা হয় আশা করি আপনার জানা?


আত্মার কোনো জন্ম, মৃত্যু, বিনাশ নাই। পুরাতন বস্ত্র ত্যাগ করে, যেমন নতুন বস্ত্র ধারণ করি, আত্মাও তেমনি পুরাতন শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর গ্রহণ করে।

প্রতিটা জিনিস সৃষ্টি হলে তার বিনাশও অনিবার্য। 

মারা যাওয়ার পর সব পঞ্চভুতে বিলীন হয়ে যায়।

তাই মারা গেলে' সৎকার' নামক নিয়মবিধি পালন করা হয়ে থাকে।


আকাম করার ইচ্ছা থাকলে হিজাব নিকাব কোনোকিছুতেই কিছু যায় আসে না। নিজে ঠিক থাকলে, শালীনভাবে থাকলে যেকোনো কিছু দিয়েই করা সম্ভব।  

হিজাব নিকাব করলেই জান্নাতে যাবে এর কোনো রেফারেন্স দেখাতে পারবে?

মানুষ মাত্র ভুল করে।

জ্ঞানত, অজ্ঞানত প্রতিটা প্রশ্বাসেই আমাদের দ্বারা ভুল হয়ে থাকে।

কেউ কখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না স্বর্গে যাবে নাকি নরকে। ভিত্তিহীন কথা।


সাকার উপাসনা, নিরাকার উপাসনা। 

সাকার অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে উপাসনা করাই সাকার উপাসনা।

নিরাকার উপাসনা-যার কোনো আকার বা রূপ নেই।অদেখা ঈশ্বরকে অন্তরে ধারণ করে ব্রহ্মজ্ঞানে আরাধনা করা।

দুইভাবেই ঈশ্বরের উপাসনা করা হয়ে থাকে।


আর তাদের বলবেন তোরা যে মসজিদে নামাজ পরিস সেটাও তো ফাঁকা জায়গা। তাহলে ফাকা জায়গায় কপাল ঠেঁকিয়ে কি বোঝাতে চাস ঈমান দূর্বল?


বেশি বেশি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেন।

তাহলে নিজেই উত্তর দিতে পারবেন। কারো মনগড়া উত্তরের উপর নির্ভর করতে হবে না।


আপনার বন্ধুদের বলবেন, আমরা মাটি দিয়ে ভগবান বানাই না৷ ভগবানের প্রতিমা বা প্রতিমূর্তি বানাই যাতে করে সাকার রুপে মনোযোগ সহকারে তার উপাসনা করতে পারি।  

আরও বলতে পারেন,  তার (আপনার বন্ধুর) একটা ছবিতে যদি জুতার মালা পড়িয়ে বাজারের সামনে টানিয়ে রাখি তার যেমন খারাপ লাগবে। 

আবার যদি তারই ছবিতে ফুলের মালা পরিয়ে বাজারের সামনে টানিয়ে রাখি, তার অবশ্যই ভালো লাগবে।  আমাদের সাকার উপাসনাটাও এরকম। 


এখন আসি দাহ করার ব্যপারটা, মৃত শরীর হচ্ছে জড় বস্তুর মতো, তাকে দাহ করলেই কি আর কবর দিলেই কি! দাহ করলে যদি কষ্ট হয়, তাহলে কবর দিলেও কষ্ট হবে। কারণ,  সেখানে পোকামাকড়ে খায়, পঁচে গলে যায় ইত্যাদি। 


এখন আসি পর্দা নিয়ে, আমাদের সনাতন ধর্মে কখনো নগ্ন / অর্ধনগ্ন হয়ে চলতে বলে নাই। বরং নারী এবং পুরুষ উভয়কেই সংযতো হয়ে চলতে বলছে। তাই বলে শুধুমাত্র নারীদের বস্তাবন্দি হয়ে চলতে বলে নাই। আপনি একটু ভাবেন, আল্লার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখে, তাতেও দোকানে দোকানে পর্দা দেয়া লাগে। আর আমরা যখন উপবাস থাকি। তখন কতো রকমের খাবার আমাদের সামনে। কখনোই আমাদের লোভ জাগে না। অর্থাৎ, আপনার মন যদি ঠিক থাকে, পর্দার দরকার পরে না। 


আমি ধর্ম সম্পর্কে খুবই কম জানি। ব্যাসিক ভাবে নিজের মতো করে বললাল। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


সরাসরি বলে দিবেন আমাদের পোড়ানোর আগে গায়ে সাদা কাপড় জড়িয়ে দেয়, তাই দেখার কিছু থাকে না।

আর তোদের লাশকে পোকায় খায়, পচে গন্ধ ছড়ায়। তোদের কঙ্কাল চুরি হয়, আমাদের তা হওয়ার ভয় নাই।


মৃত মানুষের কষ্ট কিসের? তার শরীরে কোনো অনুভুতি থাকে না যখন তখন সে জড় পদার্থ আর জড় পদার্থের কোনো অনুভূতি নাই


আরো বলবেন যে প্রতিমা হচ্ছে ঈশ্বরের স্বরুপে কল্পনা মাত্র। 

প্রতিমা বিসর্জন এর প্রেক্ষিতে বলবেন যে, তোরাও তো একদিন মরবি আর মাটিতে মিশবি, তো আল্লা তোদের বানাইছে বলেই তো মরার পর মাটিতে মিশবি,তেমনি আমরা মাটি দিয়ে মূর্তি বানিয়ে সেটাকেও আবার মাটিতে মিশিয়ে দিই।


কয়দিন আগে দেখলাম কবর থেকে তুলে তুলে কংকাল বিক্রি করে ফেলছে তাহারা। বলবেন তোরা মরলে তোদের কংকাল ও চুরি হয়। আমাদের ধর্মে দাহ করা হলে পরিবেষ দুষন হয়না। কংকাল ও চুরি হয়না। এইটা ও বলবেন মৃত্যুর আগে তুদের ধর্মের বেটারা ৪টা বিয়ে করতে পারে আবার জন্নাতে ৭০ হাজার হুর (সুন্দরী নারী) পায় কিন্তু তোদের মেয়েরা কি পায়? তোদের উপাসনালয়ে মেয়েদের প্রবেশাধিকার নেই আমাদের ধর্মে মেয়েদের সব জায়গায় অধিকার আছে, দেবীর সমান সম্মান আছে আমাদের ধর্মে। সর্বোপরি এরকম বান্ধবীদের সংগ ত্যাগ করবেন। মনে রাখবেন এদের পিছনে অনেক বড় গ্যাং আছে যারা এদের কে আপনার কাছে পাঠাইছে ব্রেন ওয়াস করার জন্য। কথায় কাজ না হলে দেখবেন বিভিন্ন লোভ দেখাবে। লোভে কাজ না হলে দেখবেন সুন্দর সুন্দর মুসলমান ছেলে দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিবে। তাই এখনি সাবধান হোন।


সনাতম ধর্ম ত্যাগ বা গ্রহন করা যায় না। আর এটাই আমাদের গর্ব।  আমার জীবনে মুসলিম ফ্রেন্ড হয় নাই। তবে তারা দু একবার বলেছিল মজার ছলে ছোট বেলায়৷  আমি সুযোগ দেই নাই।  না বলা শিখতে হবে। মুখের উপর বলে দিবেন শান্তিতে তো আমরা আছিই। দেখসস কখনো কোন হিন্দু ব্যাক্তি  ধর্ম নিয়েও কোনো অশান্তি করসে? এটাই আমাদের শিক্ষা। এমন কথা আর বলবিনা। নাহলে নেক্সট টাইম থেকে কথা বলার দরকার নাই। তারপর আর কথার সুযোগ দিবেন না। দুই একদিন শরম পেলে আর জীবনে বলবেনা


সরাসরি বলে দিবেন এসব বিষয় যেন আলোচনা না করে। তাদের ধর্ম এত ভাল হয় তাদের হুজুররা কেন মাদ্রাসায় সমকাম করে, ছেলেরা কেন বহুবিবাহ করে, মেয়েরা কি খাবার জিনিস, যে ঢেকে রাখতে হবে। কেন? অল্প অল্প শুনিয়ে দিবেন, ছেড়ে দিবেন না, ছেড়ে দিলে আরও বেশি করবে, আরেকজন কেন বলল না ওটা ভেবে চুপ থাকবেন না, আপনারটা আপনি করে যান, মাথা উচু করে বাঁচতে শিখুন।


দিদি, কিছু কথার কড়া জবাব দিতে হয়।


কেউ যদি আমাকে এরকম প্রশ্ন করে তখন আমি বলি


আপনি আমি আমরা মানুষেরা আপনার আল্লাহরই সৃষ্টি। তিনি আমাদের যেভাবে পরিচালিত করেন সেভাবেই চলি। ওনার চেয়ে আমরা ভালো জানি না, বুঝি না। আল্লাহ কি জানতেন না আমি যদি অন্য ধর্মে জন্মগ্রহণ করি আমি নরকে যাবো যে সেটা? আমার অন্য ধর্ম চাল চলন এসব নিয়ে কেউ যদি মাথা ঘামায় তাহলেতো সে নিজের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস নেই। আল্লাহ চেয়েছেন তাই আমি হিন্দু, আর আপনি মুসলিম। 


আবার, আমাদের অবতার বরাহ, কূর্ম এসবদের ওনারক পরোক্ষভাবে সম্মান করে। তাছাড়াও, যে তার সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না, সে জন্ম নিয়ে কথা তুলে।


আবার মেয়েদের বিয়ে, হিজাব এসব বিষয়েতো জবাবটা এমন দিই, যে আমাদের হিন্দু ধর্মে বহুবিবাহ নেই, মেয়েদেরকে দেবীর তুল্য সম্মান দিয়ে বিয়ে করা হয়, ছাড়াছাড়ির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মুসলিমদের একটু ঝামেলা হলেই তালাক, বহুবিবাহ ইত্যাদি। আর পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টা এমন, আমাদের হিন্দু ধর্ম মতে মানব দেহ ৫ টি ভূত মাটি, পানি,বায়ু, অগ্নি ও আকাশ দ্বারা তৈরি।  পোড়ানোর মাধ্যমে আমাদের জড় দেহ সেসবে বিলিন হয়ে যায়। কিন্তু তাদের মাটি দেওয়ার কারনে মাটি দূষন হয়, আবার, দেহটাকে বিভিন্ন পোকা মাকড়ে খায়। এসব কি কেউ দেখে। 


এসব আরো অনেক কিছু বলি, ধর্মিয় কিছু রেফারেন্সও দিই।


আমার এক ফ্রেন্ড গরুর মাংস খাওয়ার জন্য অফার দিছিল। আমি তাকে মিথ্যা করে বলছিলাম,  শুয়োরের মাংস অনেক টেস্টি, অনেক স্বাদ, একটু খেয়ে দেখ। এরপর থেকে সে আমাকে গরুর মাংসের কথা বলে না


ধৈর্য্য ধরে পড়তে থাকুন, আশা করি কাজে দিবে ।


১) প্রথম কথা কেউ মারা গেলে তার শব কেউ দেখলেই কি আর না দেখলেই বা কি! তাদের দৃষ্টিভঙ্গি টাই আসলে এরকম । 


উনাদের বলবেন আমরা পঞ্চতত্ত্ব হতেই এসেছি, আবার তাতেই মিশে যাচ্ছি। 


আর বেশি তর্ক করতে না চাইলে বলবেন "এটা সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদে বলা আছে তাই আমরা মানি। কবরের কথা বেদে নাই তাই মানিনা ‌। যেটা বেদে নাই সেটা মানতে যাবো কেন?"


২) ওনারা যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাইলে এই কথা কিভাবে বললো? দেহ থেকে আত্মা বেরিয়ে গেলে তথা কেউ মারা গেলে তার অনুভূতি কিভাবে কাজ করে? বরং তাদের কথার ভিত্তিতে আমাদের চেয়ে ওরাই কষ্ট পাবে বেশি । 


উদাহরণস্বরূপ: বিভিন্ন অণুজীব , কীট পতঙ্গ কবরের ভেতর শরীরটাকে পচায় গলায় ফেলবে  , অনেক সময় তাদের বডি চুরে করে হাড় খুলে বিক্রি করে দেয় অনেক অসাধু ব্যক্তিরা, তখন ব্যথা পায়না তাদের শরীর?? শবদাহের মাধ্যমে এধরণের কোন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। 


৩) বলবেন "আমাকে হিজাবে ভালো দেখাবে এটা খুবই ভালো কথা কিন্তু সনাতন ধর্মে হিজাবের কথা নেই তাই আমি হিজাব পড়বোনা। আর আমি বেপর্দা চলি এতে আমার কোনো সমস্যা নেই কারণ আমাদের ধর্মে নারী পুরুষ উভয়ের চোখ সংযত থাকে, উভয়ে শালীন পোশাক পড়ে । যদি কেউ এর পরেও অন্যায়ভাবে তাকায় কোনো খারাপ কাজ করে অবশ্যই সে তার কর্মফল পাবে " 


৪) "সনাতন ধর্ম কর্মফলে বিশ্বাসী। আমি জান্নাতে না গেলেও আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার কর্মফল পেলেই খুশি। মুসলিমদের মধ্যে শিয়া সুন্নি আরো কত জাতিভেদ আছে! এরা একে অন্যকে বলে জাহান্নামে যাবে। তাই তাদেরকেই এই ফেসাদে থাকতে দিন । এই ফেসাদে আমি না জড়াই !"


৫) প্রথমত "প্রতিমার মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান" এবং "প্রতিমাটাই ঈশ্বর" এই কথাটা এক নয় । ঈশ্বর নিরাকার, সর্বত্র বিরাজমান। তাই বলা যায় ঈশ্বর প্রতিমার মধ্যে বিরাজমান। তাই বলে প্রতিমাটাই ঈশ্বর নয়। এটা কেন তারা বোঝে না! 


কেউ চাইলে অবশ্যই নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারে। আর না পারলে প্রতিমা পূজা করার মাধ্যমে উপাসনা করতে পারে। 


উপর দিয়ে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে তাদের স্রষ্টা কি নিরাকার নাকি সাকার। তারা বারবার বলে তাদের সৃষ্টিকর্তা নিরাকার। কিন্তু তাদের গ্রন্থ থেকেই প্রমান পাওয়া যায় তাদের সৃষ্টিকর্তা সাকার। কারণ তার আকার আছে কিন্তু আকারটা কেমন তা তারা জানে না। 


এতদূর মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


আপনার প্রথমেই উচিত তাদের স্টেন্ডার্ডের সাথে নিজেকে তুলনা না করা। যেমন তারা আপনাকে বুঝাচ্ছে আপনার স্বাভাবিক পোষাক অশ্লীল আর তাদের বস্তা শ্লীল। আবার আগে বিয়া করলে ভাগ্য খোলে। এগুলো হলো ম্যানিপোলেট করার ট্রিক। এখন আপনি যদি তাদের বেধে দেওয়া ট্রেন্ডে নিজেকে তুলনা করেন তাহলে হবে না। আপনাকে এগুলোর কাউন্টার হিসেবে নিজের শাস্ত্রর জানতে হবে। আপনি অগ্নিবীর বাংলা ওয়েবসাইটের নারী, পর্দা ইত্যাদি সম্পর্কে আর্টিকেল গুলো পড়া শুরু করুন। দেখবেন ওদের এসব আবোল তাবোল শুনলে তখন হাসি পাবে।।



আর একটা কথা বলতে পারেন পৃথিবীতে মুখ্যকর্মের মধ্যে একটি হল বিয়ে। সে দিক দিয়ে ওরা কেমন জানেন কি? আপনি এখন একটা জামা কিনলেন ব্যবহার করলেন পুরোনো হয়ে গেল তখন আপনি সেটা কি করবেন? অবশ্যই ফেলে দিবেন তাই তো? কারণ টাকার কিনা জিনিস কখনও আপনার সারাজীবনের সঙ্গী হতে পারে না। তাদের বিয়ে হলো সেইম টাকা দিয়ে বিয়ে করে, পরে এই টাকা ব্রেক করলেই তাদের বিয়ে শেষ। কি হাসকর! 😁


সত্যি কথা বলি আমি ঢাকায় মেসে থাকতে আমাদের একজন খালা ছিলেন মুসলিম উনি নিজেই বলেছেন তোমাদের ধর্মের মেয়েরা অনেক সুখী। উনাদের কোনো কিছুর ভয় নেই। আমি তো প্রতি সময় ভয়ে থাকি কখন কি বলে ফেলে। তাইলে আমাকে বলেন যেখানে আপনার বাক স্বাধীনতা নেই সেখানে আপনি কি কার দাসত্ব করছেন না? আর শুনেন যার কিছু নেই, সেই বলে বেড়ায় আমার এই আছে সেই আছে। আর যার সব আছে সে কখনও নিজের নাম ঢোল পিটিয়ে বেড়াবে না। এটাই সহজ উত্তর।


আমি ভার্সিটির গণরুমে ছিলাম দেড়বছর। টানা দেড় বছর তাফসিরের মেয়েরা আমাকে দাওয়াত দিয়েছে। গণরুম থেকে রুমে চলে যাওয়ার পরও তারা গণরুমে আসতো দাওয়াত দিতে। আমি বছর দুয়েক পর তাদের বলেছি আপনারা শুধু নিজেদের সময় নষ্ট করছেন। আমাকে আপনারা কিচ্ছু বোঝাতে পারবেন না। তারপরও যদি চান বোঝাতে পারেন আমার শুনতে কোন আপত্তি  নাই।


আমি প্রথম যে জবে জয়েন করেছিলাম সেখানেও এমন একজন বিয়ের প্রস্তাব দিলো। আমি বললাম আপনার ধর্ম যদি আপনি চেঞ্জ করতে পারেন আমার কোন আপত্তি নাই। তারপর সে ভালো হয়ে গেলো।


আসলে নিজের পরিবার আর যা কিছু নিজের, মানে নিজের বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস সবকিছুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে কোন দাওয়াতেই কোন অসুবিধা হয় না। যেটাতে আমার রুচি নাই সেটার দাওয়াত আজীবন দিলেও তো রুচি হবে না।


শিশু শ্রেণী থেকে না পড়েই যদি কেউ ক্লাস টেনের পড়া পড়তে চায় তাহলে এরকম হবেই, আপনি বলতে পারেন আগে আমাদের ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন তারপর বলতে আসবেন।


বললেই তো হয় ধর্ম নিয়ে আলোচনা আমি করবো না। আমার ধর্ম আমার কাছে সেরা। ভালো না লাগলে মিশিস না ব্যাস। নিজের অবস্থানে নিজে শক্ত হতে হবে। ওদের আজাইরা প্যাচাল শুনবেন না।


বলবেন আমার জান্নাতে যেয়ে হুরের সর্দারনী হওয়ার কোন ইচ্ছা নাই।


তাদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দিন, আর আমার ধর্ম নিয়ে যারা বাজে কথা বলে তারা আপনার কিসের বন্ধু?


ডিপ্লোমাতে উঠার পর এমন কত যে পাইছি 😴। এমনকি আমাকে বলছে কিছু বই দিবে ওগুলাো পড়তে। আর বলছে নওমুসলিমদের সুন্দরী মুসলিম মেয়েরা বিয়ে করতে বেশি আগ্রহ দেখায়৷ কিন্তু আমাকে একটুও নাড়াতে পারে নাই।


ওরা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি টার্গেট করে


প্রথমত এমন কোনো ফ্রেন্ড রাখা উচিত না. তারা আপনাকে এসব বলার সাহস কিভাবে পায়. আমার একজন ফ্রেন্ড আমাকে বলেছিলো এসব। আমি সাথে সাথে ওরে ওর জায়গা দেখায় ব্লক করে দিছি. জীবনে এ রকম ফ্রেন্ড না থাকাই ভালো


যতটুকু সম্ভব ভিন্ন ধর্মের মানুষের সাথে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন। আর কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে গেলেই ঝামেলায় পড়বেন।


দিদি ভিন্ন ধর্মমত নিয়ে এই পোষ্টটি কেন শেয়ার করলাম??  কারণ যারা বলে বেদে মূর্তিপূজার উল্লেখ নাই বলে পুরাণ অনুসারেও আমরা মূর্তিপূজা করতে পারব না, তাদের বিষয়েও আমাদের জানা দরকার।। লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক।।


লেটস স্টার্ট.......


-ভাই আপনে তো মুসলমান তাহলে কেন নামাজ পড়তে আসেন না?


-সমস্যায় ফেলে দিলেন ভাই...


-সমস্যা? নামাজ পড়বেন সেখানে আবার কিসের সমস্যা?


-আছে ভাই, সমস্যা আছে, আপনে কি সমাধান করে দিতে পারবেন?


-ইনশাল্লা আমি অবশ্য চেষ্টা করব। বলেন দেখি কি সমস্যা?


-নামাজ পড়তে যেতে যেতে শেষতক আমি আর নামাজ পড়তে পারি না কেন জানেন?


-কেন?


-নামাজ কয় ওয়াক্ত পড়তে হবে এটা কুরআনে নেই কেন?


-কে বলছে নাই?


-আপনে যত বড় আলেম নিয়া আসেন কাউকে দিয়ে দেখান কুরআনে লেখা আছে কিনা নামাজ কয় ওয়াক্তের?


-আরে ভাই আমরা তো চিরকাল জেনে আসছি নামাজ ৫ ওয়াক্তের। সেটাই পড়বেন।


-কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নামাজ পড়তে গেলেই মনে প্রশ্ন এসে যায়। এটা খুবই আশ্চর্যের কথা যে নামাজ ৫ ও ৩ ওয়াক্তে বিভক্ত হয়ে আছে মুসলমানরা। শিয়া মুসলমানরা ৩ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকে। সুন্নীরা ৫ ওয়াক্ত। কুরআনের কোথাও ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কথা স্পষ্ট করে বলা নেই। বরং কুরআনের আয়াত পড়লে মনে হবে নামাজ ৩ ওয়াক্ত। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে নবী কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েছিলেন সেটি যদি জানা থাকত তাহলে শিয়া সুন্নীরা ৩ ও ৫ ওয়াক্ত নামাজে বিভক্ত হয়ে যেত না। নবীর পিছনে যদি এরা নামাজ পড়ে থাকবে নির্দিষ্ট ওয়াক্তে, তাহলে এই বিভক্তি সৃষ্টি হতো না। এমনকি শিয়াদের কুরআনের সঙ্গে সুন্নিদের কুরআনের রয়েছে তফাত। কেন এত ভিন্নতা?


-এইসব আপনে কি বলতাছেন? আপনেই বলেন কি কারণ?


-এর কারণ হচ্ছে ইসলামের নবীর মৃত্যুর আগে ইসলাম ধর্ম আজকের মত ছিলো না। কারণ তখনো কুরআন ছিলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছিন্ন। এখন যেমন করে তিরিশ পাড়া কুরআন মুখস্ত করে ‘হাফেজ’ হয় মুহাম্মদের সময় এরকম কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিলো না। মুহাম্মদের মৃত্যুর আড়াই শো বছর পর হাদিস সংকলন হয়। হাদিসগুলি লিখিত ছিলো না। বরং বংশ পরম্পরায় এগুলো গল্পের মত চালু ছিলো। হাদিসে দেখবেন বর্ণনা লেখায় আছে অমুক থেকে তমুক, তমুক থেকে অমুক শুনেছেন...’ এভাবে হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। মাত্র ৫০ বছর আগে ৭ মার্চের ভাষণ রেডিওতে প্রচার হবার পরও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একবার বিতর্ক বেঁধেছিলো বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ বলার পর ‘জিও পাকিস্তান’ও বলেছিলেন, আরেক দল বিরোধীতা করে বলেছিলেন তিনি জিও পাকিস্তান বলেননি..., তাহলে একজন মানুষের মৃত্যুর আড়াই শো বছর পর সম্পূর্ণ মুখে মুখে চলা বাণী নির্দেশগুলি যে কতখানি বদলে গেছে অনুমাণ করা যায়। এমনকি নামাজের ওয়াক্ত নিয়ে ইসলামের বৃহদ দুটি গ্রুপের যে বিভক্তি তাতে প্রমাণ হয় নবীর সময়ের নামাজের উপর দলিল খুব বেশি পাওয়া যায় না।


-এগুলি বইলেন না ঈমান দুর্বল হয়ে যায়...


-এই জন্যই তো ভাই নামাজ পড়াটা আর হয়ে উঠে না...


-আপনে নামাজ না পড়েন সমস্যা নাই, কিন্তু এই সমস্ত কথা বলবেন না। সমাজে অশান্তির আগুন লেগে যাবে।


-বলেন কি ভাই? আমাকে এই নিয়ে কতবার বলেছেন কেন আমি নামাজ পড়ি না? আপনে কি আমারে অশান্তির আগুনে ফেলেন নাই? আপনে কি আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করছেন?


-আপনে যেগুলি আমাকে বললেন এসব সবাই জানলে কি লাভ হবে বলেন? সবাই ইসলাম ছেড়ে দিবে? ভাবছেন সবাই নাস্তিক হয়ে যাবে?


-একদমই না। সবাইকে নাস্তিক বানানোর দায়িত্ব আমি নেই নাই। নাস্তিক হওয়া এত সহজ না। এর জন্য জ্ঞানের আগুনে পুড়ে খাঁটি সোনা হতে হয়। তবে আমার কথাগুলি শুনলে ও যাচাই করলে ধর্ম নিয়ে আপনাদের আর উন্মাদনা থাকবে না। নবীর নামে কে কি বলছে এটা শুনেই কারোর রক্ত ছুটাতে দৌড়াবেন না। ধর্ম নিয়া আর পিনিক থাকবে না... এটুকুই...


#সুষুপ্ত_পাঠক


শুনেন দিদি তাদের একটা জিনিস বলবেন এই শান্তিময় পৃথিবীতে কোন ধর্মের জংলী গুষ্টি বেশি।বলবেন গুগল সার্চ দিতে। আর বইলেন মাদ্রাসায় কেন শিশু বলাৎকার বেশি হয় আমাদের দেশে। আর পরিশেষে বলব যে সহপাঠী উপকারে আসে না সে সহপাঠীকে ত্যাগ করা উচিৎ। 


আমি সেইম ফেস করেছি। কিন্তু আমার সাথে এখন যারা এইসব করেছে, তাদের আমি একাই এই অন্ধকার আর বানোয়াট ধর্মের বিশ্বাস থেকে ভালো মানুষও করেছি।


আপনিও তাদেরকে সনাতন ধর্মে আসার জন্য বলুন। ইট মারলে পাটকেলটা দিতে শিখুন। ওদের মতন কাজিন কাজিনে বিয়ে কি আমাদের ধর্মে এলাউ করে? দাহ করলে মৃত শরীর কষ্ট পায় কিভাবে? সে তো তখন মৃতই অর্থাৎ এসব অনুভুতির বাইরেই চলে গেছে সে। আর আপনাকে বস্তা পরিধান করলে আপনাকে কিভাবে ভালো দেখাবে এটার লজিকই ত বুঝতে পারলাম না।



বিয়ের পর বরকত?😄😃😄😄😄

ওদের ধর্মে যেটাকে বিয়ে বলে, সেটাকে এখন আমার মনে হচ্ছে টাকা দিয়ে একটা মেয়েকে ভোগ করা ছাড়া আর কিছুই না। চিন্তা করে দেখেন, ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে বিয়ে করে। আবার তিন তালাক দিলে কাহিনি শেষ। 


তার মানে ঔ মেয়েকে ভোগ করার পর ৫ লাখ টাকা দিয়ে শরীরের দাম দিয়ে মেয়েকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো।


বিয়ের পরে বরকত আসে এটার scientific proof দিতে বলিয়েন!!😆

এমন হলে জন্মের পরই ওদের কোনো cousin এর সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত,

তাইলে জন্মের পর থেকেই বরকত!!আর কোনো চিন্তা নাই।

এরপর জিজ্ঞেস করবেন এতো বরকত হলে আপনার ফ্রেন্ডদের কয়জন বিয়ে করছে!?


আমাদের বাংলাদেশে যদি কোন মুসলমান ব্যক্তি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দেয় তাহলে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে এড়িয়ে যাওয়া।আপনি তাকে কথোপকথন চালাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করবেন। ডিরেক্ট বলে দিবেন আপনি আপনার ধর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট এবং আপনি এই বিষয় নিয়ে কোন তর্ক করতে আগ্রহী নয়।


এদেশের মুসলমান তর্ক ও যুক্তি বুঝবে না এখানে যৌক্তিক উত্তর দেওয়ার চিন্তাভাবনা প্রহসন। তাই আপনি এসকল তর্কেই যাবেন না। দাওয়াত দেওয়া লোকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।


নিজের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে নিজ ধর্ম আনুগত্য থাকলে, ওদের এই কথা কিচ্ছু না কানে ও নিবেন কানের পাশ দিয়ে চলে যাবে, শুধু একটা কথা  বলবেন আমার ধর্ম আমার জন্য সেরা, আর ও যদি বেশি বলে তাহলে বলবেন ভারতীয় উপমহাদেশে সকল মানুষ আজ থেকে ৫০০ বছর বা তার আর ও আগে হিন্দু ছিল। এটা বলে দিবেন। জয় শ্রী রাম


পারলে নিচের বইগুলো পড়তে বলবেন -



এই লেখাটিও পড়তে বলতে পারেন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ