‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছি’

‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল
‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল সভা

বাংলা ত্রিবিউন রিপোর্ট, ২১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৩৩


অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছি। ভরসার জায়গা আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতার স্বার্থে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থেকে কেমন যেন সরে যাচ্ছে। ফলে সাম্প্রদায়িক সংকট গভীর হচ্ছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।


তারা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতির প্রসারতার পাশপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যেতে হবে।


শনিবার (১১ মার্চ) বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন এডিটরস গিল্ড সভাপতি মোজাম্মেল বাবু।


বৈঠকে আলোচকরা বলেন,


হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য দুটি আলাদা রাষ্ট্র যখন ঘোষণা করা হয়, তখন থেকেই সংকটের শুরু। এটা শুধু বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য নয়। পাকিস্তানে হিন্দু জনগোষ্ঠী, ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘু তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করলো, তখন থেকেই একটা আলাদা সংগ্রাম ছিল যে ধর্মের বেড়া থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক ব্যবস্থা তৈরি করা। যে কারণে ’৪৭ থেকে বাংলাদেশে ভাষাভিত্তিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, যার নির্যাস ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার।


১৯৫৪ নির্বাচনে তার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিমটা বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা এখন অসম্ভব হয়ে গেছে। তার মানে অসাম্প্রদায়িকের প্রশ্নে সংকটটা আরও গভীর হয়েছে আমাদের মাঝে। 


তারা বলেন, 


দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক যে চিন্তা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পারছে না সেই জায়গাগুলো মুছে দিতে; সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিতে। আর একটা রাষ্ট্র যখন নির্দিষ্ট ধর্মে পরিচয় পায়, সেখানে অন্য ধর্মের মানুষ সংখ্যালঘু হয়ে যায়।


সংকট সমাধানে আলোচকরা বলেন, 


সাংস্কৃতি ও শিক্ষার জায়গাটা সংকুচিত হয়ে গেছে। ছোট বাচ্চাদের মাথার মধ্যেই যদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ও হিন্দু, ও মুসলিম এবং আমি সর্বশ্রেষ্ঠ। এই জায়গা থেকে সরে না এলে পারলে সংকট সমাধান হবে না। আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারতা তৈরি করতে হবে।


গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব দ্রং, সংস্কৃতিজন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃতিজন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।


সূত্র: বাংলাট্রবিউন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ