সংখ্যালঘু সমাজ নানাভাবে বঞ্চিত: সন্তু লারমা

সংখ্যালঘু সমাজ নানাভাবে বঞ্চিত: সন্তু লারমা

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাত দফা দাবিতে ঢাকার দিকে রোডমার্চের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), ছবি: জুয়েল শীল


নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম, আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ২৩


দেশের সংখ্যালঘু সমাজ নানাভাবে নানা ক্ষেত্রে শোষিত, বঞ্চিত ও প্রতারিত হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।


 আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাত দফা দাবিতে ঢাকার দিকে রোডমার্চের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে এই রোডমার্চের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী, পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। রোডমার্চ করে ঢাকায় যাওয়ার পর আগামীকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জমায়েত হবে তারা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে নেতারা জানান।


সন্তু লারমা বলেন, 


বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগণ তাদের স্বাধিকারের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অংশ হিসেবে এই রোডমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পাহাড়ি সমাজ, সংখ্যালঘু সমাজ তাদের স্বাধিকারের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।


সন্তু লারমা আরও বলেন, 


‘অধিকার আদায়ে আমাদের নেতৃত্বকে আরও সুসংগঠিত সুসংহত করতে হবে। আমি সেই ধরনের নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। পাহাড়ি সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজ—হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলিতভাবে এই সাত দফা দাবি আদায়ে সচেষ্ট হব।’


সন্তু লারমা আরও বলেন, 


‘আইনগত, ধর্মীয়, সামাজিকসহ বিভিন্ন দিক থেকে এই সাত দাবির প্রতিফলন দেখি। দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনধারার ওপর যে বঞ্চনা, যে শোষণ–নিপীড়ন, সেটা অবসানের ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে।’


সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন।


রোডমার্চের উদ্বোধনের সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 


‘রোডমার্চের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়বই। শত্রু ধর্মান্ধ জামাতিরা। মির্জা ফখরুল বলেছেন, “পাকিস্তান ভালো ছিল।” পাকিস্তানে চলে যান।’ তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের প্রতিনিধি চর হিসেবে কাজ করছিলেন। আগামী নির্বাচনে সে শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে, যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল।


রানা দাশগুপ্ত বলেন, 


সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে গোটা দেশ থেকে রোডমার্চ ঢাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।


সূত্র: প্রথম আলো

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ