গরু ও গোমাংস সম্পর্কে হিন্দুধর্মের মতামত

গরু ও গোমাংস সম্পর্কে হিন্দুধর্মের মতামত

👉 মুসলিম ধর্মাবলম্বী লোকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের প্রশ্ন করেন। গরুর দুধ খাওয়া গেলে গো মাংস খাওয়া যাবে না কেনো।


👉 গরু ও গোমাংস সম্পর্কে সনাতন ধর্মের মতামত কী ❓


🔸উত্তর : পৃথিবীর উপকারী প্রাণীর মধ্যে গরু অন্যতম। বৈদিক ঋষিগণ এই মহৎ প্রাণীকে হত্যা ও ভক্ষণ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকতে বলেছেন। কিন্তু বর্তমান একটি শ্রেণি প্রচার করে যে বেদ গোমাংস ভক্ষণের অধিকার দিয়েছে। এই ভুল ধারণার পেছনে রয়েছে বেদের ভুল অনুবাদ। 'গো' শব্দটি দ্বারা সংস্কৃতে বিভিন্ন অর্থ বুঝায়।


✅ গো শব্দের অর্থ :-


গো (সংস্কৃত, গম+ও) গোরু, গরু (সংস্কৃত, গরূপ)। অর্থ হলোঃ— জ্ঞান, ঐশ্বর্য, ধনু, গাভি, ষাঁড়, বৃষ, নিরেট বোকা, মূর্খ প্রভৃতি। গো (বিশেষ্য পদ) গরু, গো-জাতি, পশু, স্বর্গ, রশ্মি, চন্দ্র, চক্ষু গোচর, পৃথিবী, জল, গৃহ, গোপতি।


গো মানে সর্বদা গরু অনুবাদ করাতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যা পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ মিথ্যা প্রপোগান্ডা চালাচ্ছে। অনেক হিন্দুধর্মবিদ বলে থাকেন যে এক সময় গোমাংস খাওয়া হতো পরে নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু এটা চরম ভুল ধারণা নিচের সূত্রগুলো দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে আশা করি-


প্র নু বোচং চিকিতুষে জনায়,

মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট ॥

✅ ঋগ্বেদ, ৮/১০১/১৫


অনুবাদ : পরমেশ্বর উপদেশ দিচ্ছেন- আমি জ্ঞানবান পুরুষের নিকট বলিতেছি যে নিরপরাধ অহিংস পৃথিবী-সদৃশ গো জাতিকে হনন করিও না ।


▫️নিরুক্ত ২.১.৫.৪ [ অমরেশ্বর ঠাকুর অনুযায়ী ] "গো" অর্থ পশু:-


{ অথাপি পশুনামেহ ভবত্যেতস্মাদেব ৷৷ ৪৷


অথাপি (আর) [গো শব্দঃ] (গো শব্দ) ইহ (লোকে এবং বেদে)' পশু নাম (পশুর নাম) ভবতি (হয়) এতস্মাৎ এর (এই ধাতুদ্বয় হইতেই)।


“গো” শব্দ লোকে এবং বেদে পশু বুঝাইতেও প্রযুক্ত হয়। এই ‘গো' শব্দও পূর্ব্বোক্ত ধাতুদ্বয় হইতেই অর্থাৎ ‘গম্‌’ বা ‘গা’ ধাতু হইতেই নিষ্পন্ন। ইহার অর্থ—‘যে যায়’ (গচ্ছতীতি)। স্কন্দস্বামীর মতে ‘গা’ ধাতু স্তত্যর্থক, কাজেই ‘গা’ ধাতু নিষ্পন্ন পশুবোধক ‘গো’ শব্দেরও ব্যুৎপত্তি হইবে ‘গীয়তে সূয়তেহসৌ’–যে স্তুত হয় অর্থাৎ লোকে যাহার গুণকীৰ্ত্তন করে।


অনুবাদ—আর লোকে এবং বেদে ‘গো' শব্দ পশুনামও হয়, অর্থাৎ পশুবোধকও বটে; এই ধাতুদ্বয় (‘গম্‌' ধাতু ও ‘গা' ধাতু) হইতেই নিষ্পন্ন। }


অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা নো গামশ্বং পুরুষং বধীঃ।

✅ অথর্ববেদ ১০.১.২৯


অনুবাদ- নির্দোষদের হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ। কখনো মানুষ,গো-অশ্বাদিদের হত্যা করোনা।


মাতা রুদ্রাণাং দুহিতা বসূনাং স্বসাদিত্যানামমৃতস্য নাভিঃ।

প্রনুবোচং চিকিতুষে জনায়, মা গামনাগামদিতিং বধিষ্ট।।

✅ ঋগ্বেদ ৮/১০১/১৫


অনুবাদ : গাভী রুদ্র ব্রহ্মচারী বিদ্বানগণের মাতা, নির্মাতা। দুষ্টের রোদনকর্তা বিদ্বান্, সৈনিক, সেনাপতি ইত্যাদিগণ গাভীকে মাতৃতুল্য পূজনীয়া বলে মনে করেন। গাভী বিদ্বান্ বসুগণের পুত্রী। সমাজের সংস্থাপক ব্যবস্থাপক প্রবন্ধক আদির জন্য গাভী পুত্রী-সমা পালনীয়া, রক্ষণীয়া রূপে স্বীকৃত। গাভী অমৃতের কেন্দ্র। গোরক্ষার দ্বারা চিরজীবন সমাজচেতনা লাভ হয়। গো নির্দোষ, নিষ্পাপ, অদিতি, অখণ্ডনীয়, অবধ্য সুতরাং তাকে হত্যা করো না।


সংজগ্মানা অবিভ্যুষিরস্মিন্ গোষ্ঠে করীষিণীঃ।

বিভ্রতীঃ সোম্যং মধ্বনমীবা উপেতন।।

✅ অথর্ববেদ ৩/১৪/৩


অনুবাদ :- এই গোশালায় ধেনু সকল নির্ভয়ে থাকুক, একসঙ্গে মিলিয়া বিচরণ করুক, গোময় উৎপন্ন করুক, অমৃতময় দুগ্ধ ধারণ করুক এবং নীরোগ হইয়া আমার নিকট আসুক।


যজুর্বেদে গোহত্যা নিষেধ-


অজস্রমিন্দুমরুষং ভুরণ্যুমগ্নিমীডে পূর্বচিত্তিং নমোভিঃ। স পর্বাভির্ঋতুশঃ কল্পমানো গাং মা হিংসীরদিতিং বিরাজম্।।

✅ যজুর্বেদ ১৩/৪৩


অনুবাদ: অক্ষয়, ঐশ্বর্য্যযুক্ত, অক্রোধ, পূর্বতন ঋষিদের দ্বারা গৃহীত অন্ন দ্বারা অগ্নিকে স্তুতি করি। হে অগ্নি, প্রতিপর্বে প্রতিঋতুতে কর্মের সম্পাদক, তুমি অদিতি, নিরীহ গোসমূহকে হত্যা করো না।


ইমং সাহস্রং শতধারমুৎসং বাচ্যমানং সরিরস্যমধ্যে।

ঘৃতং দুহানামদিতিং জনাযাগ্রে মা হিংসীঃ পরমে ব্যোমন্।।

✅ যজুঃ ১৩/৪৯


অনুবাদ: এই গাভী মানুষের অসংখ্য সুখের সাধন, দুগ্ধের জন্য বিভিন্নভাবে পালনীয়া। গো, ঘৃত দুগ্ধ দাতৃ, অদিতি অখণ্ডনীয়া। হে মানব, একে হত্যা করো না।


▫️মহাভারতের শান্তিপর্বে বলা হয়েছে :-


অঘ্ন্যা ইতি গাবাং নাম, ক্ব এতা হন্তুমর্হতি।

মহচ্চকারাকুশলং বৃষং গাং বা লভেত্তু যঃ।।

[মহাভারত: শান্তিপর্ব ২৬২. ৪৭]


অনুবাদ: গাভীর অপর নাম অঘ্ন্যা, এরা অবধ্যা। এই সকল গাভী ও বৃষকে হত্যা করে সে মহাপাপ করে।


▫️পশুদের দুগ্ধ ও ওষুধি রস :-


পুষ্টি পশুনাং পরি জগ্রভাহং চতুষ্পদাং দ্বিপদাং যচ্চ ধান্যম্

পয়ঃ পশুনাংরসমোষ ধীনাং বৃহস্পতিঃ সবিতা মে নি যাচ্ছাৎ

✅ অথর্ব্ববেদ ১৯।৩১।৫


অনুবাদ: অর্থাৎ, চতুষ্পদ পশু,দ্বিপদ পশু এবং ধান্য হইতে আমরা পুষ্টি গ্রহণ করি। এজন্য সৃষ্টিকর্তা পরমেশ্বর আমাদিগকে পশুর দুগ্ধ ও ঔষুধির রস প্রদান করিয়াছেন


▫️"গো" বা "পশু" ভক্ষণ নিষিদ্ধ:-


স ধেন্বৈ চানুডুহশ্চ নাশ্নীয়াদ্ধেন্বনডুহৌ বা ইদং সর্বং বিভৃতস্তে দেবা। -

✅ শতপথ ব্রাহ্মণ ৩/১/২/২১


অনুবাদ: গাভী ও ষাঁড় কদাপি ভক্ষণযোগ্য নয়


ए॒षा प॒शून्त्सं क्षि॑णाति क्र॒व्याद्भू॒त्वा व्यद्व॑री। उ॒तैनां॑ ब्र॒ह्मणे॑ दद्या॒त्तथा॑ स्यो॒ना शि॒वा स्या॑त् ॥

এষা পশূন্ত্সং ক্ষিণাতি কব্যাদ্ভূত্বা ব্যদ্বরী। উতৈনা ব্রহ্মণে দধাত্তথা স্যোনা শিবা স্যাত্।।

✅ অথর্ববেদ ৩/২৮/২


অনুবাদ: মনুষ্যের বুদ্ধি (এষা) যেই পাপ প্রবৃত্তির দ্বারা চালিত হয়ে (পশূন) পশুদের (সংক্ষিণাতি) হত্যা করে এবং (ব্যদ্বরী) শাস্ত্রবিরুদ্ধ আহার গ্রহণ করে (ক্রব্যাদ্) মাংসভক্ষকে [অষ্ট্যা ২/২৫/২৫] (ভূত্বা) পরিণত হয় । (উত) নিশ্চয়ের সাথে মনুষ্য যদি (এনাম্) সেই পাপপ্রবৃত্তিযুক্ত বুদ্ধিকে (ব্রহ্মণে) ব্রহ্মের মধ্যে (দধাত্) সমর্পিত করে (তথা) তাহলে তার বুদ্ধি (স্যোনা) সুখদায়িনী ও (শিবা) কল্যাণী (স্যাত) হয়ে যায় অর্থ্যাৎ, সেই ব্যাক্তি নির্মল ও অহিংসক বুদ্ধিকে প্রাপ্ত করে।


ক্ষুধে যো গাং বিকৃন্তন্তং ভিক্ষমাণঽউপ তিষ্ঠতি দুষ্কৃতায়

✅ যজুর্বেদ ৩০।১৮


অনুবাদ: ক্ষুধা তথা খাদ্যের জন্য যারা গো হত্যা করে তাদের দূর করো


যাতুধানান্ ন ৎবা রক্ষাংসি পৃতনাসু জিগ্যুঃ । সহমূরান্ অনু দহ ক্রব্যাদো মা তে হেত্যা মুক্ষত দৈব্যায়াঃ ॥

✅ অথর্ববেদ ৮.৩.১৮ , ৫.২৯.১১


অনুবাদ: ( অগ্নে) হে বিদ্বান্ রাজন্ ! তুমি (যাতুধানান্) পীড়াদানকারীকে [প্রাণীগণ বা রোগসমূহকে ] (সনাৎ) নিত্য (মৃণসি) নষ্ট করো , (রক্ষাংসি) রাক্ষস তথা যাদের থেকে আমাদের রক্ষিত থাকা উচিৎ তাদের (ৎবা) তুমি (পৃতনাসু) সংগ্রামে (ন জিগ্যুঃ ) জয় লাভ করতে দাও না । (ক্রব্যাদঃ) মাংস ভক্ষকগণকে (সহমূরান্) [তাদের ] মূল [অথবা মূঢ় মনুষ্যগণ] সহিত (অনু দহ) ভস্ম করে দাও , (তে) তোমার (দৈব্যায়াঃ) দিব্য গুণযুক্ত (হেত্যাঃ) বজ্র তথা ন্যায়বিচার ও শৌর্যবীর্য দ্বারা (মা মুক্ষত) তারা রক্ষা পায় না ৷


[ ভাষ্যঃ পণ্ডিত ক্ষেমকরণ দাস ত্রিবেদী , পণ্ডিত জয়দেব শর্মা মীমাংসালঙ্কার, আর্যসমাজ ]


অর্থাৎ , আমাদের মাংসভক্ষণ করা তো উচিৎ নয় ।


▫️গো" বা "পশু" হত্যার শাস্তির বিধান :-


অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা নো গামশ্বং পুরুষং বধীঃ।

✅ অথর্ববেদ ১০.১.২৯


অনুবাদ: নির্দোষদের হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ। কখনো মানুষ, গো-অশ্বাদিদের হত্যা করোনা।


যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পূরুষম্।

তন্ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসি অবীরহা।।

✅ অথর্ববেদ ১/১৬/৪


অনুবাদ: যদি তুমি আমাদের গাভী সকল হত্যা কর, যদি আমাদের ঘোড়া ও পুরুষদের হত্যা কর, তাহলে তোমাকে সীসের গুলি করে ধ্বংস করা হবে যাতে, তুমি আমাদের কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করতে না পারো।


🔸"গো" বা "পশু" মৃত্যুদণ্ড বিধান :-


যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পূরুষম্ ।।

তাং ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসো অবীরহা ॥

✅ অথর্ববেদ, ১/১৬/৪


অনুবাদ: যদি তুমি আমাদের গরু, অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা কর, তবে তোমাকে সীসকের গুলি দ্বারা বিদ্ধ করিব। আমাদের সমাজের মধ্যে বীরদের বিনাশকারী কেহই না থাকে ।


যঃ পৌরুষেয়েণ ক্রবিষা সমঙ্ক্তে যো অশ্ব্যেন পশুনা যাতুধানঃ । যো অঘ্ন্যায়া ভরতি ক্ষীরমগ্নে তেষাং শীর্ষাণি হরসাপি বৃশ্চ ॥

✅ ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬


অনুবাদ: (অগ্নে) হে তেজস্বী নায়ক ! (যঃ-যাতুধানঃ) যে যাতনা দানকারী দুষ্ট প্রাণী রয়েছে (পৌরুষেয়েণ ক্রবিষা) মনুষ্যগণের অভ্যন্তরের মাংস দ্বারা (সমঙ্ক্তে) নিজেকে পুষ্ট করে (যঃ-অশ্ব্যেন পশুনা) যে কিনা পশুসমূহের মধ্যে নিরপরাধ পশু দ্বারা নিজেকে উত্তমভাবে পরিপুষ্ট করে (যঃ-অঘ্ন্যায়াঃ ক্ষীরং ভরতি) যে হত্যার অযোগ্য গোরুর দুগ্ধকে হরণ করে-নষ্ট করে-দূষিত করে (তেষাং শীর্ষাণি হরসা বৃশ্চ) তাদের শিরসমূহ তথা শিরবৎ বর্তমান প্রমুখ ব্যক্তিগণকে হরণকারক শস্ত্র-অস্ত্রের ব্যবিহার দেয়ারা ছিন্ন-ভিন্ন করো , নষ্ট করো ॥১৬॥


[ ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যামার্তণ্ড, আর্যসমাজ ]


অর্থাৎ , মনুষ্যগণের বিবিধ অঙ্গ তথা আভ্যন্তরীন বস্তু দ্বারা নিজেকে পুষ্ট যেমন মানুষের অঙ্গ পাচার , কিংবা অঙ্গসমূহকে নষ্ট করে যেভাবে এখন কোমলমতি শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করানো হয় তারা এবং সেই যারা কিনা গোদুগ্ধাদি খাদ্যদ্রব্যকে নষ্ট করে - দেশের শাসক , প্রশাসন ও সচেতন নাগরিকদের উচিৎ তাদের সমূলে উৎপাটন করা ।


🔸মহাভারতে গাভীকে মাতা বলা হয়েছে:-


"মাতরঃ সর্বভূতানাং গাবঃ"

✅ মহাভারত অনুশাসন পর্ব ৬৯।৭


অনুবাদ: গাভীকে সমস্ত প্রাণীদের মাতা বলা হয়।


▫️বেদে পশু-প্রাণী সংরক্ষণের মাহাত্ম্য:-


পশূপান্হি

✅ যজুর্বেদঃ ১/১


অনুবাদ: পশুদের রক্ষা করো।


নমঃ শ্বভ্যঃ শ্বপতিভ্যশ্চ বো নমো॥

✅ যজুর্বেদ ১৬।২৮


অনুবাদ: মানুষের উচিত পশুদের অন্ন দ্বারা পালন করে তাদের দ্বারা উপকার নেবে এবং পশু রক্ষাকারীদেরও সৎকার করবে।


[ অর্থাৎ, পশুদের হত্যা না করে রক্ষা করতে বলা হয়েছে। ]


🔸চলুন সবাই মিলে শ্রেয়: মার্গের দিকে আসি


ওঁ অসতো মা সদ্গময়।

তমসো মা জ্যোতির্গময়।

মৃত্যোর্মামৃতং গময়।

✅ বৃহদারণ্যক উপনিষদ্‌ ১।৩।২৮


অনুবাদ: অসত্য থেকে আমাকে সত্যে নিয়ে যাও, অন্ধকার থেকে আমাকে জ্যোতিতে/আলোতে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে আমাকে অমৃতে নিয়ে যাও।


সত্যের পথে চলেই সত্যের অনুসন্ধান করি


নমস্কার

​প্রচারে:- VEDA


সূত্র: beautyofveda

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ