বাংলাদেশে হিন্দু জীবন - দুই

বাংলাদেশে হিন্দু জীবন


ধরুন, অফিসের মুসলিম কলিগ বা বসের সাথে লাঞ্চ করতে গেলেন। তখন তারা যদি গোরুর মাংস খায়, তাহলে আপনাকেও বলবে খাওয়ার জন্য। এবং তারা এমন এমন যুক্তি শুনাবে যে, আপনার প্রতিউত্তর দেওয়ার সমর্থ্য থাকবে না। বিশেষ করে তারা কমন যে যুক্তিটা দেয় তা হলো-


“এই দেশের অনেক হিন্দু গোরুর মাংস খায়। এই মাংস অনেক টেস্টি। তাই প্রকাশ্যে না খেলেও লুকিয়ে খায়। আমারই অনেক হিন্দু বন্ধুবান্ধব আমাদের বাসায় গোরুর মাংস খেত। তুমিও খাও, কিচ্ছু হবে না। আধুনিক যুগে এসব ধর্মের নীতিকথা কে মানে? সমস্যা নেই, চলো খাই।”


এবার আপনি শ্রদ্ধাপ্রদর্শনপূর্বক মৃদু হেসে রিপ্লাই করুন। যাস্ট হিন্দুর স্থানে মুসলিম, আর গোরুর মাংসের স্থানে শূকর। ব্যাস! আপনার কাজ শেষ। এরপর থেকে আর ইনভাইট করার সাহস করবে না।


আপনার রিপ্লাইটা হবে এমন-


“স্যার। গোরুর মাংস সবচেয়ে টেস্টি না, সবচেয়ে টেস্টি শূকরের মাংস।  আমার অনেক মুসলিম বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমরা পার্টি দিতাম। তখন আমরা শূকর খেতাম। আমাদের বাসায় যেদিনই শূকরের মাংস রান্না হতো, সেদিনই ওদের নিমন্ত্রণ দিতাম। সবাই আনন্দ করে খাওয়া-দাওয়া হতো। কিন্তু স্যার, আমি গোরুর মাংস খাই না। আমার অ্যালার্জি আছে।”


এই রিপ্লাই শুনার পর আপনার মুসলিম কলিগ বা স্যার যুক্তি দেখাবে যে, শূকর অনেক নোংরা। তাই আমরা এর মাংস খাই না। তখন আপনি গৃহপালিত শ্বেত শূকরের কথা বলবেন। শ্বেত শূকর কখনা নোংরা হয় না। 


[বি.দ্র. সনাতন বৈদিক ধর্মে প্রাণী হত্যা করে মাংস আহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই প্রাণী হত্যা করে মাংস আহার না করার অনুরোধ রইলো।]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ