হেও হোয়াং ওক |
৪৮ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যারাজ পদ্মসেনের পুত্রী রাজকণ্যা (রাজকুমারী) সুরিরত্নার সাথে সেই সুদূর কোরিয়া দেশের "জিউম গোয়ান গায়া" রাজ্যের রাজা কিম সুরো-র বিবাহ হয়।
এই প্রায় অসম্ভব দূরত্বে অযোধ্যকুমারীর বিবাহ কীভাবে হল সে এক অন্য রোমাঞ্চকর কাহিনী।
যাহোক, বিবাহের পর নতুন রাজা-রানীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হল নতুন রাজবংশ। কারাক বা গারাক রাজবংশ। সুরিরত্না পরিচিত হলেন মহারানী "হেও হোয়াং ওক" নামে।
মহারানী হেও (সুরিরত্না) বারোজন সন্তানের জন্ম দিলেন, এদের মধ্যে দুজন কন্যা সন্তান। প্রথম পুত্রের নাম জিও ডেউং। সুখে দিন কাটলেও মহারানী মাঝে মাঝে ছেড়ে আসা পিতার কথা ভেবে বিমর্ষ হয়ে পড়েন। তাই সন্তানেরা বড় হলে মহারানী রাজাকে অনুরোধ করলেন তাদের অন্ততঃ দুজন সন্তান যেন মাতুল বংশের পরিচয়ে পরিচিত হয়। মহানুভব রাজা সুরো সম্মত হলেন।
জিমহায়ের হেও এবং লি বা উই পদবীর লোকেরা এদেরই বংশজ। অন্যদিকে কিম পিতার পদবী গ্রহণ করলেন।
এভাবে কিম, লি, হেও, উই ইত্যাদি পদবীধারীরা নিজেদের বংশধারা সুরিরত্না তথা ইক্ষ্বাকু বংশের (শ্রীরাম যে বংশের) সাথে ট্রেস করতে পারেন।
সুরিরত্না স্মারক ভাস্কর্য |
দক্ষিণ কোরিয়ার বহু প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডিরা নিজেদের এভাবে সুরিরত্না তথা রামের বংশধর বলে নিজেকে মনে করতেন।
২০০১ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দেশদুটির রাষ্ট্রদূত, ১০০ জন ঐতিহাসিক ও বহু সরকারি অফিসারের উপস্থিতিতে অযোধ্যাতে Memorial of Heo Hwang Ok বা সুরিরত্না স্মারক তৈরি হয়।
প্রতি বছর কয়েক হাজার কোরীয় "মামাবাড়ি" অযোধ্যায় ঘুরতে আসেন তাদের পূর্বজ সুরিরত্নাকে শ্রদ্ধা জানাতে।
আরও তথ্য:
0 মন্তব্যসমূহ