দেশে ঘটে যাওয়া হিন্দু নির্যাতনের ১০% তথ্যও আমার নিকট পৌছায় না, যা আসে তার ০.৫%ও পোষ্ট করিনা।
শুধুমাত্র গতদুইদিন প্রাপ্ত তথ্যগুলোর কয়েকটা দিলাম।
দেশটা কোন পর্যায়ে রয়েছে একবার ভাবুন।
১। সিলেট বিভাগের, হবিগঞ্জ জেলার, বানিয়াচংয়ের উপজেলায়, বানেশর বিশ্বাস পাড়ায়, এক হিন্দুর বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটুক্তির অভিযোগ তুলেছে, অথচ সেই ব্যক্তির কোনো ফোন নাই, তার একটা ছবি দিয়ে ধর্ম অবমাননার অযুহাত তৈরি করার চেষ্টা করেছে। গতকাল ৪০০-৫০০ উগ্র জিহাদী এক সাথে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলো। তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে। কিন্তু পরে উগ্র জিহাদীরা আবারো বানেশর বিশ্বাস পাড়ায় হামলা করার জন্য জড়ো হচ্ছিলো। শেষ খবর জানা নাই।
২। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় শামসুল নামের এক ব্যক্তি ও দলবল সহ কমল চন্দ্র সিংহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাস্তায় লাঠি, কাস্তে ও কুড়াল দিয়ে বেধড়ক পেটায়।বর্তমনে কমল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জমির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সালিশীর জন্য আলাপ করতে যান। কিন্তু অভিযুক্তরা “শালা, তোরে মেরে ইন্ডিয়া পাঠামু”- বলে এই ন্যক্কারজনক হামলা চালায়।এছাড়াও ঐদিন রাত আনুমানিক ১০.০০ঘটিকায় কমল চন্দ্র যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখনো অভিযুক্তরা তার বাড়ির সামনে যেয়ে তার স্ত্রী ও পুত্রবধুকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও “আইনগতভাবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিব, মেরে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিব” ইত্যাদি ভাষায় হুমকি দিতে থাকে।শামসুলের ২য় ছেলে(ডাক নাম- পল্টু) সবার সামনে বলে-“কসম খেয়ে বলছি, এর পর গাছ কাটতে বললে সত্যি সত্যি সবকয়ডারে মেরে ফেলবো”।
রাতে কমল চন্দ্র বালিয়াডাঙ্গী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
উল্লেখ্য কমল চন্দ্র দীর্ঘদিন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে উনি উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৩। হিন্দু সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের এলাকা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা ১ নং ওয়ার্ডে গতকাল বিকেলে জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনী রাতুল কে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি সহ আরও অনেকের বাড়িতে হামলা।
জীবন মাঝির বাড়িতে ভাঙচুর মারার হুমকি দিয়ে আসে যদি এলাকা ছেড়ে না যায় তাহলে বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে এবং ওর বাবার দোকানে গিয়ে ওর বাবার গলায় ছুরি দিয়ে মার হুমকি দেয়।
নিহার বালা বাসায় গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসে এবং বাবা মাকে গালিগালাজ ও বাসায় ভাঙচুর করে।
অমিত দাসের বাসায় গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাসায় ভাঙচুর করতে গেলে একপর্যায়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসী বের হয়ে আসলে সন্ত্রাসী রাতুল বাহিনী পালিয়ে যায়।
রাজিব জমদ্দার এর বাসায় গিয়ে রাজিব কে মারধর করে এক পর্যায়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।
টিংকু ভাই এর তেলের দোকান গালিগালাজ করে বন্ধ করে দেয়।
৪। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দিনদুপুরে রানা পোদ্দারের স্বর্ণালংকারের দোকানে অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে অস্ত্রধারী ফাহিম মোল্লা। ফাহিম মোল্লা মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সেলিম মোল্লার ছেলে।
৫। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের সুলতানপুর গ্রামের খোকন সান্যালের বাড়িতে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় আনিছ, হামিদ ও শহিদুল গং।
তারা বাড়ি ঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে এমনকি ঘরের ঠাকুরের আসনটিও তছনছ করে দেয়। অসহায় লোকগুলিকে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে পাঠায় এবং দেশ ত্যাগের হুমকি দেয়।
উক্ত ঘটনায় গত রাতে মামলা হয়েছে কিন্তু এখনো কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারছে না প্রশাসন।
৬। নেত্রকোনায় বরুয়াকোনা সাধু ফেডারিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রীতিলতা কুবি (৫০) বাড়িতে ঢুকে মালামাল লুট ও শিক্ষককে মারধরের করে অভিযোগ উঠেছে মোঃ সাব্বির অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে, থানায় মামলা।
৭। ফেঞ্চুগঞ্জ এর নিজ ঘিলাছড়া মোকাম বাজারে সজল বিশ্বাস নামের এক যুবক খুন।
একটি মরর্মান্তিক ঘটনা চোখের অশ্রু চলে আসছে যে মানুষটা হাঁটতে পারে নাই পা থাকা সত্বেও প্রতিবন্ধীর মত চলাফেরা করে সেই মানুষটাকে ওরা রাত ১১ টার দিকে মোকামবাজার হিন্দুপাড়ায় রিশির ভুসিমালের দোকানে ডুকে তাকে গলায় রশি দিয়ে হত্যা করেছে।
৮। যশোরের লক্ষী-নারায়ন দেব মন্দিরের ফেসবুক ID হ্যাক করে আল্লাহু কালেমা পোষ্ট।
৯। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের সময় বর্তমান সভাপতির পক্ষে কাজ না করায় জোর করে রিজাইন লেটার নিয়ে প্রধান শিক্ষক মিল্টন বিকাশ দাসকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার বেতন ও স্কুলে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন হুমকী ধমকী।
১০। নোয়াখালীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী মন্টু রতনের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে মিছিল হচ্ছিলো, জানিনা সকালের পরিস্থিতি কি!!!
১১। ক্ষুদ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়নের ২নং বদরপুর গ্রামে কালনি পাড়া মোঃ খালেক দলবদ্ধ হয়ে সংখ্যালঘু পরিবারটিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে আজমিরীগঞ্জ ওসি মাসুক আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার আক্রান্ত পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১২। মুন্সীগঞ্জে হিন্দুদের লাশ সৎকারে বাধা, চলছে থমথমে উত্তেজনা।
0 মন্তব্যসমূহ