জেলা প্রতিনিধি, প্রকাশ : ০২ জানুয়ারী ২০২২, ০২ : ০২ পি.এম
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মন্দির ও একটি হিন্দু বাড়িতে গরুর মাংস রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এই কর্মসূচি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
গেন্দুকুড়ি ক্যাম্পপাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, গেন্দুকুড়ি কুঠিপাড়া কালী মন্দির, গেন্দুকুড়ি বটতলা কালী মন্দির ও ক্যাম্পপাড়া এলাকার মনিন্দ্রনাথ বর্মণ নামে একজনের বাড়িতে শুক্রবার সকালে পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো গরুর পা, ভুঁড়ি ও মাংস পাওয়া যায় বলে জানায় স্থানীয়রা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের প্রভাষক পদ্মলোচন রায় বলেন,
‘মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে গরুর মাংস রেখে অপ্রীতিকর কিছু ঘটানোর পাঁয়তারা হয়েছিল। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
গেন্দুকুড়ি এলাকার বকুল চন্দ্র বর্মণ বলেন,
‘আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিচলিত ও ভারাক্রান্ত। এখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেমিশে বাস করি। আগে এমন ঘটনা ঘটেনি।’
হাতীবান্ধা উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার সিংহ বলেন,
‘এটা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা এসব দেখতে পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করে সত্যতা পায়।’
দিলিপ কুমার আরও বলেন,
‘এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে চারটি মামলা হয়েছে। জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাব।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন,
‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন,
‘আমাকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেন। এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, সেটা বের করব। বিষয়টি পুলিশও তদন্ত করছে। অবশ্যই দোষীদের বিচার হবে।’
সূত্র: বাহান্ননিউজ
0 মন্তব্যসমূহ