আইসিইউতে অঞ্জনা |
ধর্মান্তরের করুণ পরিণতি - চিত্রনায়িকা অঞ্জনার জীবন
স্ট্রোক করে টানা চারদিন পড়ে ছিলেন বাসায়, কাজের বুয়া ছাড়া কাউকে পাশে পায়নি শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সাহা আর শ্রীমতি কমলা সাহার মেয়ে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সাহা ওরফে অঞ্জনা রহমান। চাঁদপুরের এক সম্ভ্রান্ত সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম অঞ্জনার। বাবা ছিলেন একজন ব্যাংকার। পরিবারের সহযোগিতায় অর্জন করেছেন অনেক শিক্ষা যশ খ্যাতি। মূলত অঞ্জনা একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী। ভরত নাট্যম ও মনিপুরী নৃত্যও শিখেছেন তিনি। তিন বার শ্রেষ্ঠ নৃত্য শিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরুস্কার জয়ী হন। টার্গেটে পরে লাভ-জিহাদ এর এবং ফাঁদে পরে নিজ ধর্ম ও পরিবারের সাথে প্রতারণা করে হন ধর্মান্তরিত। শুরু হয় জীবনের করুণ অধ্যায়। বিচ্ছিন্ন হয় পরিবার ও স্বজনেরা। শেষ জীবনের করুণ পরিণতি ও নিজের ভুলের অনুসূচনায় মেহরিন সাদিয়া সুমির নিকট এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,
"মা-বাবাহীন এই আমি আজ ভীষণ একা। তাদের কথা আমার প্রতিটি মুহূর্তেই মনে পড়ে- আর জীবনের এই পর্যায়ে এসে চলচ্চিত্রের একজন মানুষ হয়েও গুটিকতক মানুষ ছাড়া তেমন কারো সঙ্গেই যোগাযোগ হয় না"
জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক অধ্যায়ের কথা বলতে গিয়ে এমন করেই বলছিলেন অঞ্জনা। স্বধর্মে থাকা ছোটবোন রঞ্জনা মল্লিক, তার স্বামী জয়দেবের সুখের সংসার আর তাদের একমাত্র সন্তান অর্ণবকে ঘিরেই যেন ছিল অঞ্জনার সুখের পৃথিবী। তাদের সুখের সংসার দেখে স্বর্গীয় সুখ পেতেন ধর্মান্তরিত অঞ্জনা রহমান। দেশের বাইরে থেকে ছোট ভাই সঞ্জয় কুমার সাহাও এসে ভাগ বসাতো সেখানে। অঞ্জনার সারা শরীরে ব্লাড ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়েছিলো। এর ফলে হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। ফুসফুসে পানি জমে যায়। সর্বশেষ স্ট্রোক তাকে থামিয়ে দেয়। ওহ ভগবান!!! কি ভয়ানক কষ্টদায়ক করুণ মৃত্যু!!! এমন করুণ পরিণতি যেন আর।
সূত্র: ফেসবুক
0 মন্তব্যসমূহ