সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য ৪২ আসন রাখার দাবি হিন্দু মহাজোটের

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি
ছবি: সংগৃহীত
 

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি


 টিবিএস রিপোর্ট, 23 November, 2024, 10:35 am, Last modified: 23 November, 2024, 10:38 am 


জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতিতে সংখ্যালঘুদের জন্য ৪২টি আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে হিন্দু মহাজোট।


শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।


এ সময় সংগঠনটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক লিখিত বক্তব্যে জানান, 


"সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ (হিন্দু ১০ শতাংশ ও বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ২ শতাংশ) অনুপাতে ৩৫০ আসন হলে ৪২টি আসন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ৩৮টি হিন্দুদের জন্য, বৌদ্ধদের ৩টি এবং খ্রিস্টানদের জন্য ১টি আসন এবং ৬টি নারী আসন থেকে ৪টি হিন্দু, ২টি বৌদ্ধ নারী সদস্য সারাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী নারীদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। সারাদেশের প্রাপ্ত ভোট অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলগুলো সদস্য মনোনীত করবে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, আদিবাসী ও খ্রিস্টান সংসদ সদস্যরা সমমর্যাদা সম্পন্ন হবেন। ভোট দেবেন স্ব স্ব সম্প্রদায়ের ভোটাররা।"


তিনি বলেন, 


"রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই এদেশের জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মনোয়ন দেয়নি। সরকারি হিসাব মতে ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু হলেও সংখ্যালঘুদের ৪২টি আসন পাওয়ার কথা। কিন্তু যৌথ নির্বাচনের কারণে স্বাধীনতার ৫৫ বছরে কোনো সংসদেই হিন্দু সম্প্রদায় তাদের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি পাঠাতে পারেনি। বিএনপি থেকে মাত্র একজন, জাতীয় পার্টি থেকে ২/৩ জন, আওয়ামী লীগ থেকে ৬ থেকে ১৫ জন সংসদ সদস্য হতে পেরেছেন। এ অবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার, জাতীয় সংসদসহ সবক্ষেত্রে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প নেই।"


গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক আরও বলেন, 


"বর্তমান সরকার দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত, উদার মানুষ ও নির্লোভ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত। আমরা আশা করছি, বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এবং দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে ভূমিকা রাখবে। সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি মেনে না নিলে হিন্দু সম্প্রদায় কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং ভোটকেন্দ্রে যাবে না।"


 সূত্র: দ্যা বিজিনেস স্ট্যান্ডার্ড

Post a Comment

0 Comments