স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা।। জোর করে জমি দখল করতে না পেরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে পরিবারের চার সদস্যকে পিটিয়ে জখম করে তাদের দিগম্বর করে ভারতে পাঠিয়ে দেবার হুমকি দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই সদস্যরা গত দুইদিন ধরে নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছে। হামলাকারীরা নগদ টাকা ও জিনিসপত্রসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে। বুধবার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভরুলিয়া ইউনিয়নের কুলটুপুরি গ্রামের অশ্বিনী মন্ডলের ছেলে নারায়ন চন্দ্র মন্ডল (৬০), তার ছেলে শ্রীনিবাস মন্ডল (২৮), তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মন্ডল (২০) ও নিমাই মন্ডলের স্ত্রী সুমিত্রা মন্ডল (৩৫)। আহত পরিবারের অভিযোগ, হামলার পর অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন মামলা নেনয়নি। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হলেও হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের এই সদস্যরা এখন পরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
গত ১৭ জুন জবেদ আলীর নেতৃত্বে খায়ের, নণ্টু, মনিরুল, শহীদুল ও গফুরসহ ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তার স্ত্রীসহ বাড়ির মহিলাদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা করতে গেলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা নেয়নি। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা নেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আশ্রয়ে থাকা আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী পরিবারের ওপর হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার ইফতারির পর নামাজ শেষে জবেদ আলীর নেতৃত্বে খায়ের, নণ্টু, মনিরুল, শহীদুল ও গফুরসহ ১২-১৩ জন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ৫ জুলাই, ২০১৩, পৃ-১৪
[খবরটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়নি। ]
0 মন্তব্যসমূহ