ফেইসবুক হ্যাক/ভুয়া পোস্ট দিয়ে পাঁচবারই ছাড় পাওয়ায় প্রতিবারই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
Rai Kishori
October 22, 2019 9:46 pm
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনায় দোষ না করেও সংখ্যালঘু উত্তম কুমার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের রসরাজ, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় টিটু রায় এবং ভোলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ এদের প্রত্যেকের নামে ভুয়া আইডি কিংবা আইডি হ্যাকে জড়িতরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েও ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট দেওয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাওয়া এবং সংখ্যালঘুরা অন্যায় না করেও শাস্তি পাচ্ছে ফলে বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়ানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির নাম ফেইসবুকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক হামলায় অনেক নিহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বড় ধরনের ক্ষতিও হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের। এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে অন্য কারও ফেইসবুকের আইডি হ্যাক করে। এ যাবতকালের যত ঘটনা ঘটেছে সবই প্রায় একই পদ্ধতিতে ও ছকে। এসব ভুয়া খবরের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম, ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরআন অথবা নবীকে অবমাননা করা হয়েছে। পোস্ট করা হয়েছে ইসলামবিদ্বেষী ছবি।
গত কয়েকবছরে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ঘটনার মধ্যে রামুর ঘটনায় যে বৌদ্ধ তরুনের ফেইসবুক ব্যবহার করা হয়েছে, পরে ওই নামে কারও খোজই মেলেনি।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের রসরাজ নামে যে ব্যক্তির ফেইসবুক ব্যবহার করে ইসলামবিদ্বেষী ছবি পোস্ট করা হয়েছিল, সেই রসরাজ ফেইসবুক চালাতেই জানত না। পাসওয়ার্ড কাকে বলে সে নিয়েও টার কোন ধারণা ছিল না। এমনকি সাম্প্রদায়িক হামলার পর ওই ছবির পোস্ট আর পাওয়া যায়নি।
এইভাবে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহানবীকে অবমাননা করে যে ব্যক্তির ফেইসবুক থেকে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল টার গঙ্গাচড়ায় বাড়ি হলেও তিনি থাকতেন নারায়নগঞ্জে এবং ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
সর্বশেষ ভোলায় যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার চারজনের মৃত্যু, সংঘর্ষ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে, সেখানেও বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক তরুণের ফেইসবুক হ্যাক করে কে বা কারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এব্যপারে শুভ কিছুই জানতেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন এবং আইডি হ্যাক ও পোস্ট হওয়ার সংগে সংগেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ আইডি হ্যাক ও এমন মন্তব্য পোস্ট করার সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে।
সর্বপ্রথম কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধপল্লীতে হামলাঃ
২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর হটাত শোনা গেল রামুর একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে উত্তম বড়ুয়া নামে কোন এক বৌদ্ধ তরুণের ফেইসবুকে ইসলাম ধর্ম, মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ কোরান ও নবীকে অবমাননা করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন রামু উপজেলার চৌমুহনী মোড়ে একটি মিছিল ও সমাবেশ গড়ায়। এই ঘটনায় সে সময় স্থানীয় মুসলমানদের কয়েকটি দল রামুতে ১৯টি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস ও ক্ষতি গ্রস্থ করে। বৌদ্ধদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পুননির্মাণ এবং সংস্কার করা হয়।কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধপল্লীতে হামলা
স্থানীয় পুলিশের মতে, ঔ হামলার ঘটনায় তখন রামু, উখিয়া ও টেকনাফে সব মিলিয়ে ১৯টি মামলাও হয়েছে। একটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অন্য মামলাগুলের বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি। এমনকি উত্তম বড়ুয়া নামের যে তরুণের ফেইসবুক আক্যাউন্টকে ঘিরে ওই হামলার সূত্রপাত, পরে ওই নামে কোন তরুণের খোজ মেলেনি।
নারকীয় হামলার ১৮ মামলার একটি বিচারও এখনো শেষ হয়নি। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় দায়ীরা কেউ শাস্তি পায়নি। ঘটনার পর বিভিন্ন মামলায় ৯৯৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় আটকরা সবাই এখন জামিনে মুক্ত।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় সেই ঘটনার সাত বছর অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি এর বিচারকার্য। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। তবে অপরাধীদের বেশিরভাগ আইনের আওতায় না আসায় তাদের শঙ্কা কাটছে না।
শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা বিতর্ক
এই দৃশ্য সম্ভবত অনেকেরই মনে আছে। ২০১৩ সালের ৫ই মে ঢাকার শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার সমর্থক। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে বেশ কজন ব্লগারের বিরুদ্ধে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সেদিন তাদের ঢাকা অবরোধ ছিল।শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম
ভোর থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলো দখলে নিয়েছিলো হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলো হাজার হাজার মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক।
টিভির পর্দায় সেদিন যে দৃশ্য আলোড়ন তুলেছিল তা হল শাপলা চত্বর, পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশের রাস্তায় আশপাশে নানা ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের দৃশ্য।
সেদিন শাপলা চত্বর রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিলো। পরদিন ভোর নাগাদ পুরো মতিঝিল এলাকাকে মনে হয়েছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি অঞ্চল। রাতের বেলায় হাজার হাজার র্যাব, পুলিশ বিজিবির মিলিত অভিযানে খালি করে ফেলা হয়েছিলো শাপলা চত্বর। হেফাজতে ইসলামের শত শত কর্মী ও সমর্থকদের দেখা গিয়েছিলো মাথার উপর দুই হাত তুলে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।
শত শত রাউন্ড গুলি, সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ, কাঁদানে গ্যাস আর আলোর ঝলকানি মিলে সেদিন রাতে তৈরি হয়েছিলো এক বিভীষিকাময় পরিবেশ।
নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা
২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় রসরাজ নামক এক ব্যক্তির নামে ফেইসবুকে একটি ইসলামবিদ্বেষী ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ঐ গ্রামের হিন্দুদের ৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে রসরাজকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে দেয় একদল উগ্র লোক। তাদের অভিযোগ, রসরাজ দাস ফেসবুকে ইসলামের অবমাননা করেছে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাস পেশায় একজন জেলে। হামলা দুদিন আগে নাসিরনগরের হরিপুর গ্রামে হিন্দু যুবক রসরাজ দাসের ফেইসবুকে ইসলামবিদ্বেষী একটি ছবি প্রকাশের অভিযোগ উঠে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামের মুসলমানরা।নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অভিযোগ ছিল মুসলমানদের কাবাঘরের সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শিবের একটি ছবি জুড়ে দিয়েছিলেন রসরাজ। স্থানীয় লোকজন সেদিনই রসরাজ দাসকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দিয়ে তাকে চালান করে দেয়। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি ও ঘটনার রেশ। সেদিন একাধিক স্থানীয় ইসলামপন্থি সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করে। এসব সংগঠনের লোকজন স্থানীয় মুসলমানদের সংগঠিত করে নাসিরনগরের হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা করে। প্রথম দিনই আটটি হিন্দু পাড়ায় অন্তত তিন শতাধিক বাড়িঘর, মন্দির, দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর করা হয়। ভাংচুর হয় রসরাজের বাড়িও।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নভেম্বরের চার তারিখ আরেক দফা হামলা হয় নাসিরনগরের হিন্দুদের উপরে।
স্থানীয় এমপি ও সরকারের তখনকার মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক হিন্দুদের সম্পর্কে তার কথিত কটু মন্তব্যের জন্য উল্টো রোষের মুখে পড়েছিলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানির অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার আড়াই মাস পরে জামিনে বের হয়েছিলেন পেশায় জেলে রসরাজ। বের হয়ে তিনি বলেছিলেন ফেইসবুক চালাতে জানেন না। পাসওয়ার্ড কাকে বলে সে নিয়েও কোন ধারণা নেই তার। যে পোস্টটিকে ঘিরে এত ঘটনা সেটিও পরে আর পাওয়া যায় নি।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নাসিরনগরে ওই হামলার ঘটনায় মোট আটটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র একটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। একটি মামলার তদন্ত করেছে গোয়েন্দা বিভাগ। আর বাকি ছয়টি তদন্ত করছে নাসিরনগর থানার পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন ভূইয়া জানান, ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী রসরাজ দাসের মোবাইল থেকে ধর্ম অবমাননার ছবি আপলোডের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারক রসরাজকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গুলি ও একজনের মৃত্যু
২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর, নাসির নগরের হামলার ঠিক একবছরের মাথায় রংপুরের গঙ্গাচরায় আরেকটি অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল।রংপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
জানাগেছে, টিটু রায় নামে এক ব্যক্তির ফেইসবুক থেকে মহানবী(সা.) অবমাননা করে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় মুসলমানরা। শেষ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় গঙ্গাচড়ায় প্রথমে মাইকিং টার পর মানববন্ধন শেষে হঠাৎ করে আশেপাশের গ্রাম থেকে শতশত মানুষ মিছিল নিয়ে হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। পুলিশের গুলিতে সেদিন একজন নিহত হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, গঙ্গাচড়ায় দুটো মামলা হয়েছিল। রংপুর সদরে হয়েছিল একটি মামলা। অবমাননার অভিযোগের মামলায় টিটু রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি এখন জামিনে রয়েছেন।
খুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানায় করা একটি মামলা ও রংপুর সদরে আরেকটি মামলায় শীঘ্রই চার্জশীট দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
সিলেটের ওসমানীনগরেও সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস
চলতি বছরের জুনে ইদের নামাজের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে সিলেটের ওসমানীনগরে। সনাতন ধর্মের এক নারীর মৃত্যুর পর সৎকার নিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের কয়েক ব্যক্তির মধ্যে মত বিরোধ হয়।
পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে এমন কিছু পোস্ট দেয়া হয় যা নিয়ে মুসলিমদের একটি অংশ ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করে। এর জের ধরে কয়েকটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ ভোলায় যা ঘটেছিল
গত ২০ অক্টোবর রবিবার ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলায় ফেইসবুকে মহানবীকে(সা.) নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট নিয়ে পুলিশের সঙ্ঘে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ফেইসবুকে মহানবী(সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়ার কারণে শুক্রবার থেকেই বিক্ষোভ চলছিল।ভোলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গ্রামবাসীর সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা করেছেন । এমনকি বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের যে তরুণের ফেইসবুক থেকে মহানবীকে কটুক্তি করে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, ঐ তরুণ সেদিনই স্থানীয় থানায় গিয়ে তার আইডি হ্যাক হয়েছে এবং কে বা কারা সেখানে স্ট্যাটাস দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি তিনি স্থানীয় মসজিদের দুই ইমাম ও বাটামারা পীরকে জানান। তারা জানান যে, রবিবার সকালে দোয়া-মোনাজাত করে কর্মসূচি শেষ করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন নিহত হয়। ১০ পুলিশ আহত হয়।
এ ব্যাপারে সেখানকার সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জাফর ইকবাল জানান, রবিবার সকাল ১০টা থেকে ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ চলছিল। শনিবার থেকেই বিভিন্ন ইসলামী সংস্থা এই সমাবেশের পক্ষে মাইকে প্রচার চালায়। ‘তৌহিদী জনতা’ নামে একটি সংগঠন নেতৃত্ব দিচ্ছিল। পরে সে বিক্ষোভ থেকে প্রথমে পুলিশের ওপর ঢিল ও ধর ধর বলে ছুটে আসে সবাই। এরপরই সংঘর্ষ বেধে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ