'বলদামি' মার্কা 'ধর্মীয় সম্প্রীতি' - কাইজার আহমেদ

কাইজার আহমেদের ফেসবুক পোস্ট

রোজার মাসে বৌদ্ধ মন্দিরের সাধু ভিক্ষুরা 'দরিদ্র' মুসলিমদের 'ইফতার' খাইয়ে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির 'দৃষ্টান্ত' উপহার দিচ্ছেন!

আবার হিন্দু মন্দিরের পাশে মসজিদ স্থাপনের সহযোগিতা দিয়ে, কিছু 'নাস্তিক হিন্দু' পুরোহিতরাও মুসলিমদের সাথে 'ধর্মীয় সম্প্রীতি' রক্ষার 'উজ্জ্বল নজির' তৈরী করতে চাইছেন!

ভাইলোক, কারো সাথে 'ধর্মীয় সম্প্রীতি' কি এইভাবে তৈরী করা সম্ভব? ঠিকাছে, আপনারা কেউ মুসলিমদের ইফতার খাওয়াচ্ছেন! কেউ বা মন্দিরের জায়গা পর্যন্ত ছেড়ে দিচ্ছেন, মসজিদ নির্মাণে! যাতে মুসলিম সম্প্রদায় ও তাদের আল্লাহ 'খুশি' থাকেন! প্রশ্ন হলো, এই কাজের জন্য আপনাদের ভগবানরা কি 'গোস্বা' করিবেন না? 

তাছাড়া মুসলিমরা কি কখনো আপনাদেরকে মসজিদে ডেকে এনে, পূজার সময় 'প্রসাদ' তৈরী করে খাওয়াবে? কিংবা মসজিদের কোনায় দুনিয়া উল্টে গেলেও কি তারা মন্দির তৈরির অনুমতি দিবে? তাহলে এইসব 'বেহুদা বেকুবি' কাজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির 'উজ্জ্বল উদ্যোগ' মনে করছেন কুন্ আক্কেলে?

আপ্ননারা এটি বুঝতে হবে যে, মুসলিমরা কখনোই আপনাদেরকে মসজিদের ভিতরে দাওয়াত দিয়ে 'প্রসাদ' খাওয়াবেনা! কিংবা মন্দিরের জন্য মসজিদের জায়গা ছেড়ে দিতে চাইলেও, সেটা আদৌ করতে পারবেনা! কারণ এই কাজগুলো মুমিনরা করলে 'চিরস্থায়ী দোজখী' হয়ে যাবে! কারণ নুবিপাক মন্দির তৈরী নয়, তিনি কাবা মন্দিরের ৩৬০টি মূর্তি ধ্বংসই  করেছিলেন! আর আলফাক বলেছেন; আপনারা হলেন 'মালাউন' বা 'অভিশপ্ত' মুশরিক জাতি! যাদের 'চিরস্থায়ী' ঠিকানা হবে জাহান্নামের লকলকে আগুন! ইত্যাদি!

সুতরাং মুসলিম কাডলপাতা প্রেমীরা চাইলেও আপনাদেরকে এসব 'সম্প্রীতিময়' কাজের 'রিটার্ন' হিসাবে! পূজার সময় 'প্রসাদ' বানিয়ে খাওয়াবেনা! মা দুর্গার মূর্তি তৈরিতে চাঁদা সাহায্য দিবেনা! কিংবা মন্দির তৈরিতে জমিজমা, আর্থিক সাহায্য, সমর্থন, ইত্যাদি দিয়ে 'ভয়ংকর কুফরী' কাজ তারা কখনোই করতে যাবেনা! কারণ এতে মুমিনরা ইহকাল, পরকাল, হুর, গেলমান; সবই খুয়াবে! 

তাই আফনারা একটু বুইজ্যা শুইন্যা, এইসব 'বলদামি' মার্কা 'ধর্মীয় সম্প্রীতি' সু রক্ষার কাজগুলো করিয়েন! গোস্তাকি মাফি! ধইন্যবাদ!!..

Post a Comment

0 Comments