তরুণ-তরুণীকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল; তবে পুলিশ বলছে, তারা কিছু জানে না।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 31 August 2023, 09:56 PM
হিন্দু তরুণের সঙ্গে মুসলমান তরুণীর প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়াল গ্রামবাসী, দুজনকে সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে করা হয় নির্যাতন। পরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তার বাবার করা মামলায় তরুণটিকে যেতে হল কারাগারে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
তরুণ-তরুণীকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও পুলিশ দাবি করছে, এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। অথচ সেই তরুণকে ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ সদস্যরা নিয়ে এসেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বাবার করা মামলার পর তরুণীকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে।
স্থানীয়রা জানান, এই তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তরুণীটি প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর এলাকাবাসী তাদেরকে ধরে সুপারি গাছে বেঁধে নির্যাতন করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে যায়। পরে তরুণীর বাবা সেই তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঠান কারাগারে।
সেই তরুণ সাংবাদিকদের বলেন,
“আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারা আমাকে অন্যায়ভাবে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। পরে আবার ধর্ষণের মামলা করেছে।”
সিংগীমারী ইউপির সাবেক নারী সদস্য রাহেলা বেগম বলেন,
“আমরা বেঁধে রাখিনি। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাই ছেলেটিকে গাছে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
তবে এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবারের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
ঘটনাটি শুনেছেন বলে সিংগীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলুও স্বীকার করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন,
“মেয়ের বাবা মামলা করেছেন। ছেলেটিকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।”
দুজনকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এমন কিছু তার জানা নেই।
“তবে এ রকম ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
সূত্র: বিডিনিউজ২৪
ভিডিও সংগ্রহ: ফেসবুক
0 মন্তব্যসমূহ