নীলফামারী জেলার অন্তর্গত বেড়াকুঠি বরুয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রনজিত কুমার রায়

নীলফামারী জেলার অন্তর্গত বেড়াকুঠি বরুয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রনজিত কুমার রায়
নীলফামারী জেলার অন্তর্গত বেড়াকুঠি বরুয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রনজিত কুমার রায়


নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুঠি বরুয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রনজিত কুমার রায়। দরিদ্র রনজিত কুমার রায় মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির জন্য অনেকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একজন হিন্দু মানুষ মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য, মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি লাভের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন- এটা যে কতটা মহত্বের তা মুসলমানরা বুঝতে পারবে না। কারণ কখনও কোন মুসলমান কোন হিন্দু প্রতিষ্ঠানের জন্য সামান্যতম ভাবনা ব্যয় করেনি। হিন্দুধর্ম তথা সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার টোলগুলো বাংলাদেশে অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোন মুসলমান কখনও এই বিষয়ে একটা বাক্যও ব্যয় করেনি। বাংলা ভাষা যে ভাষা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে, সেই সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার বিদ্যালয়গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিদেশী আরবী ভাষা শিক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। বাংলাদেশী মুসলমানদের মানসিক দাসত্ব কতটা নিচে নেমে গেছে, তা ব্যাখ্যা করার বোধহয় আর দরকার হবে না।


রনজিত কুমার রায় জানেন যে মাদ্রাসায় হিন্দুবিদ্বেষী কথাবার্তা শেখানো হয়। তাকেও নিশ্চয় হিন্দুধর্ম ও সংস্কৃতিবিরোধী আজেবাজে কথা মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলে থাকবে। তারপরও হিন্দুধর্মজাত উদারতা নম্রতা দিয়ে তিনি মাদ্রাসার উন্নয়ন চেয়েছেন। হিন্দু সংস্কৃতি প্রভাবিত উচু মানসিকতার কারণেই যে রনজিত এমন সহৃদয়তা দেখাতে পেরেছেন, তা অনেক মুসলমানই বুঝবে না।


উৎস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ