চোখে টর্চলাইট মারায় বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা!

চোখে টর্চলাইট মারায় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে হিন্দু বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:১৫



চোখে টর্চলাইট মারায় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে হিন্দু বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা!


গোপালগঞ্জে চোখে টর্চলাইট মারাকে কেন্দ্র করে রণজিৎ রায় (৮৫) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হন তার ছেলে ঝন্টু রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মানিকহার মন্দিরের সামনে চোখে টর্চলাইট মারাকে কেন্দ্র করে রণজিৎ রায় ও তার ছোট ছেলে ঝন্টু রায়কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ওই এলাকার মিল্টন খাঁ, শীপন খাঁসহ তার লোকজন।

 

আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনলে রণজিৎ রায়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত ঝন্টু রায়কে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


নিহত এবং আহতদের দেখতে জেনারেল হাসপাতালে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খাইরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

তবে এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।


সূত্র: কালের কণ্ঠ

=-=-=-=-=-=-=


বিডিনিউজ২৪ ওয়েবসাইটে খবরটি আরও বিশদে প্রকাশিত হয়েছে। খবরটি নিম্নরূপ:-


চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কলহ, বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

মিল্টন চড় মারায় বাবু বাড়িতে গিয়ে বাবা রনজিৎ রায় ও ভাই ঝন্টুকে ডেকে নিয়ে আসেন।


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published : 13 Oct 2023, 11:23 AM, Updated : 13 Oct 2023, 11:23 AM


গোপালগঞ্জে চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়াকে কেন্দ্র করে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের উর‌ফি গ্রামের মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে বলে জানান সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।


নিহত রনজিৎ রায় মালোপাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার ছেলে ঝন্টু রায়কেও মারপিট ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।


স্থানীয়দের বরাতে ওসি আনিচুর জানান, রাতে রনজিৎ রায়ের আরেক ছেলে বাবু রায় মালোপাড়া ব্রিজে বসেছিলেন। এ সময় বাবু ওই ব্রিজের উপর থাকা মিল্টন খাঁর চোখে টর্চ লাইটের আলো ফেললে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড় মারেন মিল্টন।


পরে বাবু বাড়িতে গিয়ে বাবা রনজিৎ ও ভাই ঝন্টুকে ডেকে নিয়ে আসেন। তারা বাবুকে মারার কারণ জানতে চাইলে মিল্টন ও তার লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।


একপর্যায়ে মিল্টন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রনজিৎ ও ঝন্টুকে কুপিয়ে-পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন।


খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল ইসলাম হাসপাতালে ছুটে যান।


এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।


লিংক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ